সেই সে পিশাচিনী ভাতের হাঁড়ি ফেলে, রাজপথ পেরিয়ে
শ্মশানের কাঠ-কুঠো সাজায় – তাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয় গৃহস্বামী।
ঘরের চাদরে কয়লার ছোপ – দেওয়ালে হাড়ের শিকল দেখে
চলে গেছে আত্মীয়-দল। অযত্নের চায়ের কাপ দেখে, রাগে আত্মহারা
গুরুপত্নীও।
পিশাচিনী মাঝরাতে উঠে, হাহা করে কাঁদে
শৃঙখল থেকে তার হাতে-পিঠে কালশিঠে – রক্ত উঠে আসে কান্নায়
পিশাচিনী বরাবর একা। তার খেলায় কেবল বিচ্ছেদ আর
সরে যাওয়া – এসে বসে থাকে। লোকে তাকে,
হাততালি শেখায়। চওড়া পাড় শাড়ি ছিঁড়ে সুতলি বানিয়ে
সে, প্রদীপ জ্বালায় বলে, পরীরা তাকে দলে নেয়নি আজও।
পিশাচিনী, হাওয়া বইলে জাহাজঘাটে গিয়ে ফানুশ হয়ে
যায়। উড়ে যায় কবরখানায় –
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
1 thought on “poem-pishachini”
বিস্ময়কর লেখা!
যে সংসারে অচল; পরীর লাস্য যাকে মেনে নেয় না; হাড় দিয়ে যে দেওয়াল সাজায়— সংসার তার ‘সার’ বোঝে না কোনদিন! সে কখনও তারাশঙ্করের ডাইনি— সে কখনও অদিতির কবিতার পিশাচিনী…
বিস্ময়কর লেখা!
যে সংসারে অচল; পরীর লাস্য যাকে মেনে নেয় না; হাড় দিয়ে যে দেওয়াল সাজায়— সংসার তার ‘সার’ বোঝে না কোনদিন! সে কখনও তারাশঙ্করের ডাইনি— সে কখনও অদিতির কবিতার পিশাচিনী…
অপূর্ব লিখেছেন আপনি…