শিউলিফুলের গাছ যদি আজ কাশের শোভা দেখার জন্যে না যায়,
সে যদি আজ সমস্ত দিন স্বার্থপরের মতন
নিজের হাতে নিজের কিছু পত্রলেখা সাজায়…
তুমি কি খুব রাগ করবে? ভাববে না একবারও
নিজের ক্ষরণ নিজের পাতায় ঠিক কতটা গাঢ়।
বুকের মধ্যে ফোটায় ফোঁটায় জমা হয়েছে দুঃখী শহরতলি।
সেই নিরক্ত রঙের থেকে গজায় কুসুমকলি।
জন্ম থেকে চোখের তারায় আহত এক ভিখারিনীর চুনেহলুদ পট্টি বাঁধা পা।
শিউলি বুঝি ফুলের বোঁটায় সে রঙ লাগাবে না?
সব কথা কি বলতে হবে মুখে?
শিউলিপাতায় চুম খেয়ে যায় সুলগ্না শম্বুকে।
পাতায় পাতায় ক্ষয়।
সব কথা কি বলার মতন হয়?
এমন কিছু থাকবে না যা
পাখীক পাখ, মীনক পানি, হাথক দরপণ?
যেমন সহজ শিউলিতলা আর সুদূরের ব্যথিত কাশবন।
অসাধারণ প্রিয় কবি।👌
অপূর্ব।