রক্তের ছাপ ফেলে বুটের সর্পিল হেঁটে যাওয়ার অনিন্দ্য সুন্দর আল্পনা আঁকা থাকে এখানে। প্রতিটি নকশাই এসে শেষ হয় একাকী গলিমুখে। অথচ কোথায় কানাগলি? এই পথ বেয়ে চলে যাওয়ার রাস্তা ছড়ানো বহুমুখী। তবুও অজ্ঞাত কারণে এমনটাই দেখে আসছে শহরের মানুষ। আল্পনা দীর্ঘ হয় না— প্রতিদিন খুন হয়; হতেই হয়। কেউ-না কেউ কাঁদে; কাঁদতেই হয়। সবাই নির্বাক থাকে; থাকতেই হয়।
শিরদাঁড়া ক্রমশ মোমের মতো গলে গলে যায়। নিজেকে অন্ধ করে, মূক ও বধির করে এভাবেই পোশাকি খুনের সাক্ষী হতে হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। একদিন হয়তো প্রতিটি হত্যাই কেবলই হাততালির মতো বেজে উঠবে; উঠবেই।