(ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবার্ষিকী স্মরণে)
ফারুক মাহমুদ
জলস্থান যত বেশি স্বচ্ছমুগ্ধ গভীরতা পাবে
অসীম ছন্দের আলো, রেখা-রেখা হাসির উড়াল
ছড়াবে সুরের জ্যোতি। ভাষাহত, আচ্ছাদিত নয়
স্বরূপে, রূপকে দীর্ঘ– যেতে যেতে বহুদূর যাবে
যে থাকে সামান্য হয়ে, চিন্তাসূত্রে রৌদ্র ডেকে আনে
প্রতিটি বৃক্ষের পাশে লিখে রাখে মাতৃ-কোমলতা
বিভ্রম গুরুত্ব পেলে বেড়ে যায় সামাজিক ব্যাধি
জীবন শুকিয়ে থাকে, অশ্রুরেখা-সাদা বর্ণ থানে
শূন্যতার আঁচ বেশি। আপসের ঘূর্ণি যদি থাকে
দ্রুত বাড়ে আগাছার ভিড়। কাঁটা, কলুষের জটা
দম্ভের উত্তাপ থেকে শুরু হয় পতনের স্ফীতি
মৌলিক বোধের সিঁড়ি ডুবে যায় অমূলক পাঁকে
দাসত্ব আরেক পাপ। উদয়াস্ত হলে অবনত
ঢেকে যায় সূর্যমুখ, স্তরে স্তরে জটিল প্রলাপ
প্রয়োগে বিভ্রাট যদি– শব্দগুলো পাথরের কাঁড়ি
ফুলের স্তবকছলে কখনো কি ঢাকা পড়ে ক্ষত!
কথার পেছনে তবু শুভশুদ্ধ কথা থেকে যায়
মানুষ প্রসন্ন হলে–(শক্ত দাঁড়া) দাঁড়িয়ে দাঁড়ায়
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন