সৌম্য সালেক
১
পেছনে ফেলেছি রাত্রি, লক্ষ লক্ষ দিনান্ত-প্রহর
সমুদ্র লহরী আর অমানিশা প্রত্নগুহার
আমার নেই কোনো দেশ সবিশেষ ঠিকানা নিশানা-
আদিম ভ্রমণে যারা বন ছেড়ে এসেছিল পার হয়ে করাল হিমানী,
যূথরথে পেরিয়ে এসেছে মরু, পথে পথে তটিনি তুমুল
পায়ে দলে পেরিয়ে এসেছে কাঁটা
যারা জলে-কর্দমে একাকার নেমেছিল হারপুন হাতে এই তৃণদলে, এই জলাঞ্চলে-
আমি সেই শ্রান্ত অভিবাসীদের উত্তরাধিকার!
২
মাতৃজঠর থেকে উত্তোলন করে একটি ফুলতোলা কোমল কাঁথা জড়িয়ে
প্রভাতে সূর্যের প্রতি ইশারা করেছে যে আমার আগমন, আমি তার কাছে ঋণী!
সেইসব আদি নরনারী যাদের নিশিডাক শুনে পালাতো পশুরা
যাদের হাড় মিশে আছে পুরনো পাহাড়ের তলে- করাল শিলায়
শিকারের কালে ক্ষিপ্রবেগে পাথরে পাথরে যারা ছড়িয়ে যেতো অগ্নিপুলক!
আলোহীন শ্বাপদ-শঙ্কুল রাতে ভোলেনি যারা সন্ততির কথা-
সেইসব সহৃদয় প্রবীণের কাছে আমি ঋণী!
ঋণী আমি পিতৃপুরুষের কাছে, যে রক্তধারা বইছে শোণিতে
ঋণী আমি শস্যক্ষেত, নদনদী আর শত সহ্যশীল রমণীর কাছে
চিরঋণী আমি, এই জল এই মাটি- মাতৃকার কাছে…
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন