গাছের ছায়ার নীচে বসে থাকেন পথিক।
উঁচু বাড়ির দেওয়ালের ছায়ায় দুপুরের ঘুমটুকু
সেরে নেন শ্রমিক।
ঘামতে ঘামতে যে-দোকানের তিনি খদ্দের নন
বাজারে, সেই দোকানেরও কারশেডের ছায়ায়
দু’দন্ড দাঁড়িয়ে নেন ক্রেতা।
#
নানারকমের ছায়ার নীচে বসে, দাঁড়িয়ে, শুয়ে
কিছুতেই আশ মেটে না মানুষের
#
সে চায় মানুষের ছায়ার নীচে আশ্রয়।
+স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন
স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন দেখতে জানে যে লোক
সেই প্রকৃত ম্যাজিশিয়ান।
সে ভুল ট্রেনে উঠে পড়তে পারে।
সে না-ফুটেই কুঁড়ির ভেতর চুপচাপ শুয়ে থাকতে পারে
পুরো একটা জীবন।
সে যে-কোনও দিন এক বাঁশিওয়ালা।
স্বপ্নের ভেতরে যে স্বপ্ন তাতে
বাস্তব আর অবাস্তবের কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
তাতে অবাস্তবের শরীরে অবাস্তবের আত্মা।
সেখানে লাল ফুলকে নীল করে দেয় না কেউ,
সেখানে শুধুই গান, শুধুই আনন্দ, শুধুই নৈঃশব্দ্য,
শুধুই বিষণ্ণতা…
+পরিত্যক্ত
ফেলে দিই। কিন্তু ডোবে না।
একটি চন্দ্রাহত রাত্রি, একটী কীটদষ্ট দুপুর,
ফড়িংয়ের ডানা ছেঁড়ার পাপ,
মাউথ অরগানে ‘আধেক ঘুমে, নয়ন চুমে’র সুর,
একটি স্পর্শ–
ফেলে দিই। কিন্তু ডোবে না।
ফিরে আসে। ফিরে ফিরে আসে।
#
স্মৃতি আসলে সমুদ্রের মতো।
তিনটি কবিতাই পড়লাম।বলা ভালো এক নিঃশ্বাসে।ভিতরে অবগাহন করতে গিয়ে দেখি তিনেরই বক্তব্য এর কী অপূর্ব সামঞ্জস্য ! জীবনের কথা যেন তিনটি টুকরো কোলাজে গাঁথা।
তোমার কবিতার এক আলাদা গন্ধ আছে, যা আমি অন্তত অনুভব করি আমার অন্তরাত্মা দিয়ে।
অদ্ভুত কবিতা আপনার। কোথায় কবিতার গয়না নেই, বেনারসি শাড়ি নেই ,তবু যেন কবিতা কনের সাজে সেজে আছে। সরল সাধা সিধে কথা দিয়ে বোনা এক মায়াময় কিছু একটা
যা পড়লে বা শুনলে মনে এক সুতীব্র ভালো বাসা জমে। মনে হয় ,আরে এতো আমিও দেখেছি ,– এই রকমই তো হয়,
কিন্তু লিখতে পারি না এমন করে, ভাবতে পারি না এমন করে। তৈরি করতে পারি না এমন করে স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্ন। আসলে যে লেখে সে কবি নয়, যে দেখে সে কবি, যে ভাবে সেই কবি।তাই বুঝি দেখা আর ভাবা খুব কঠিন কাজ। সবাই পারে না। তাই সবাই কবি নয়। অংশুমান পারেন, তাই তিনি কবি।
Very good initiative..
তিনটি কবিতাই পড়লাম।বলা ভালো এক নিঃশ্বাসে।ভিতরে অবগাহন করতে গিয়ে দেখি তিনেরই বক্তব্য এর কী অপূর্ব সামঞ্জস্য ! জীবনের কথা যেন তিনটি টুকরো কোলাজে গাঁথা।
তোমার কবিতার এক আলাদা গন্ধ আছে, যা আমি অন্তত অনুভব করি আমার অন্তরাত্মা দিয়ে।
প্রতিটি কবিতা অসাধারণ
তিনটে কবিতায় মারাত্মক রকমের ভালো। বিশেষ করে আশ্রয় লেখাটা মন জয় করে নেয়।
প্রতিটি কবিতাই অনন্য সৃষ্টি মনে হয়েছে।কবি কে অযুত শুভেচ্ছা।
প্রতিটি কবিতাই অনন্য সৃষ্টি মনে হয়েছে।কবি কে অযুত শুভেচ্ছা।
পরিত্যক্ত ই সবার চেয়ে আপন হয়। এখানেও তাই হলো। চমৎকার তিনটে লেখা।
পরিত্যক্ত ই সবার চেয়ে আপন হয়। এখানেও তাই হলো। চমৎকার তিনটে লেখা।
খুব ভালো লাগলো স্যার, অপূর্ব।
‘পরিত্যক্ত’ কবিতাটি আমার মন সবচাইতে বেশি ছুঁয়ে গেল
অদ্ভুত কবিতা আপনার। কোথায় কবিতার গয়না নেই, বেনারসি শাড়ি নেই ,তবু যেন কবিতা কনের সাজে সেজে আছে। সরল সাধা সিধে কথা দিয়ে বোনা এক মায়াময় কিছু একটা
যা পড়লে বা শুনলে মনে এক সুতীব্র ভালো বাসা জমে। মনে হয় ,আরে এতো আমিও দেখেছি ,– এই রকমই তো হয়,
কিন্তু লিখতে পারি না এমন করে, ভাবতে পারি না এমন করে। তৈরি করতে পারি না এমন করে স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্ন। আসলে যে লেখে সে কবি নয়, যে দেখে সে কবি, যে ভাবে সেই কবি।তাই বুঝি দেখা আর ভাবা খুব কঠিন কাজ। সবাই পারে না। তাই সবাই কবি নয়। অংশুমান পারেন, তাই তিনি কবি।
ভালো লাগলো।
দারুণ লাগলো
অংশুমান দা খুব ভালো লেখা পড়লাম
প্রতিটি কবিতাই দারুণ লেগেছে। অন্য রকম একটা সুর শুনলাম। কবিকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।