rannaghar-banglar-pitha-parbon

বাংলার পিঠা পার্বণ
আফরোজা নাজনীন সুমি

ভারতীয় উপমহাদেশে পিঠা খাওয়ার চল অনেক প্রাচীন। বাংলা ভাষায় লেখা প্রায় ৫০০ বছরের পুরানো বইপত্রগুলোতে জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে পিঠার উল্লেখ আছে। প্রাচীন বইপত্রতে যেহেতু পিঠা বানানো ও খাওয়ার কথা এসেছে, তাই ধরে নেওয়া যায় পিঠা খাওয়ার ঐতিহ্য বাঙালি সমাজে অনেক প্রাচীন। পিঠা খাওয়ার লোভে টোনাটুনির হাতে ধেড়ে বাঘকে নাজেহাল হতে হয়েছিল সেই গল্প আমরা সবাই জানি।

পিঠা হলো চালগুঁড়া, ডালবাটা, গুড়, নারকেল ইত্যাদির মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্নবিশেষ। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। ধান থেকে চাল এবং সেই চালের গুঁড়া পিঠা তৈরির মূল উপাদান। চালের গুঁড়ার সঙ্গে প্রয়োজনমাফিক বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরিতে বিভিন্ন উপকরণ যোগ করা হয়।

বছরজুড়ে ঢাকা শহরে পিঠা পাওয়া গেলেও মজা করে জমিয়ে পিঠা খাওয়ার আসল সময় হলো শীতকাল। গ্রামীণ মানুষ পুরো বছর পিঠা খায় না। হেমন্তে নতুন ধান উঠার পর নবান্ন আসে তারপর আসে পৌষসংক্রান্তি। পৌষের হিম হিম ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে পাতা উনুনের পাশে বসে গরমাগরম বাহারি পিঠা খাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার এক চির পরিচিত দৃশ্য।

বসন্তের আগমন পর্যন্ত চলে পিঠা খাওয়া। চৈত্রে পিঠা খাওয়া হয় খুব কম। সম্ভবত নতুন ধান থেকে তৈরি চালে যে সুঘ্রাণ আর আর্দ্রতা থাকে, পিঠা বানানোর আটা তৈরিতে সেই চালটাই আদর্শ। ধান যত পুরোনো হতে থাকে, ততই সে আর্দ্রতা হারাতে থাকে। ফলে সেই চালের আটায় তৈরি পিঠা আর আগের মতো সুস্বাদু থাকে না। হেমন্তে নতুন ধান উঠলে গ্রামের নারীরা ঢেঁকিতে পিঠার জন্য চালের গুঁড়া বানাত। এখন ঢেঁকির প্রচলন নেই বললেই চলে। ঢেকির পরিবর্তে ‘কল’ থেকে গুঁড়া তৈরি করে ব্যবহার করা হয়।

সাধারণত বাংলাদেশে তৈরি পিঠা রন্ধন প্রণালি অনুযায়ী দুই রকমের হয়ঃ ভাজা ও ভাপা। এই ভাজা ও ভাপা দুই ধরনের পিঠা কখনো দুধে চুবিয়ে দুধপিঠা আবার কখনো চিনি অথবা গুড়ের শিরায় বা খেজুরের রসে ভিজিয়ে রসের পিঠা তৈরি করা হয়। নকশি পিঠা আদতে নকশা করা ভাজা পিঠা। এটিকে দুধ, খেজুরের রস, চিনি বা গুড়ের শিরায় ভিজিয়ে অথবা না ভিজিয়েও খাওয়া যায়।

ক্ষীরপুলি, চন্দ্রপুলি, পোয়া পিঠা, ভাপা পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, আস্কে পিঠা, চাঁদ পাকন পিঠা, সুন্দরী পাকন, সর ভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, লবঙ্গ লতিকা, নকশি পিঠা ইত্যাদি কত যে পিঠা খাওয়া হয় বাংলাদেশে, তার সঠিক কোনো হিসাব নেই কারও কাছে। তবে কিছু কিছু পিঠা পুরো বাংলাদেশেই খাওয়া হয়, আবার কিছু পিঠা নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে খুব কম খাওয়া হয়। যেমন: সিলেট অঞ্চলের চুঙ্গি পিঠা, বিক্রমপুর অঞ্চলের বিবিখান পিঠা ইত্যাদি।

ঝাল পিঠা খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে। যেমন: চিতই পিঠা সরিষাবাটা বা মরিচ ভর্তা বা শুঁটকির ঝাল ঝাল ভর্তা ইত্যাদি নানা ধরনের ভর্তা দিয়ে খাওয়া হয়। আবার ছিটা রুটি পিঠার আটায় মরিচ বাটা মিশিয়ে ঝাল করে ভাজা হয়। ছিটা রুটি পিঠা মুরগী বা হাঁসের মাংস দিয়ে খাওয়ার প্রচলনও আছে। চিতই পিঠা কোথাও কোথাও মুরগির মাংস দিয়ে খাওয়া হয়। তবে চিতই পিঠা খাওয়ার আদি পদ্ধতি হলো ঝোলা গুড় দিয়ে খাওয়া।

পুলি পিঠার মূল উপাদান নারকেলের পুর। নারকেলের সঙ্গে আখ বা খেজুরের গুড়, তিল ইত্যাদিও দেওয়া হয়। আবার কখনো কখনো পুলি পিঠা বানানো হয় ঝাল দিয়ে।
শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় পাড়ার রাস্তার মোড়ে মোড়ে পিঠাওয়ালা বসে। তারা তেলের পিঠা বা পুয়া পিঠা, চিতই পিঠা আর ভাপা পিঠাই সাধারণত বিক্রি করে। আর সারা বছর কিনতে পাওয়া যায় পাটিসাপটা পিঠা। গ্রামবাংলায় এখনো ধানের বিনিময়ে ভাপা পিঠা কিনতে পাওয়া যায়। কোন এলাকার চিতই পিঠা বিক্রেতা কত পদের ভর্তা দিচ্ছে, তার ওপর তাদের খ্যাতি নির্ভর করে আজকাল।

যুগের সাথে সাথে শত বছর ধরে চলে আসা এই পিঠার অনেক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই কিন্তু সবার কাছে এখনো সমান জনপ্রিয় এই খাবার।

কিছু মুখে জল আনার পিঠে তৈরীর প্রণালী আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

সংসারী পিঠা বা সমুচা পিঠা
সংসারী পিঠা বা সমুচা পিঠা


উপকরণ:
২০০ গ্রাম ময়দা
১ চা চামচ বেকিং পাউডার
২০০ গ্রাম চিকেন কিমা
১ কাপ মিহি পিয়াজ কুচি
১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
১চা চামচ আদা ও কাঁচা মরিচ বাটা
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া
১/২চা চামচ জিরে গুঁড়া
১/২চা চামচ ধনে গুঁড়া
১ কাপ মটরশুঁটি
১/২ কাপ ধনেপাতা কুচি
১ বাটি সাদা তেল
১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়া
স্বাদমতো লবণ
৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল

প্রনালী:
প্রথমে ময়দায় লবণ, বেকিং পাউডার আর ২ চামচ সাদা তেল মিশিয়ে ভালো করে মেখে ডো বানিয়ে নিতে হবে।

তারপর কড়াইতে সরষের তেল গরম করে ওর মধ্যে পিয়াজ কুচি দিয়ে সোনালী করে ভেজে ওর মধ্যে আদা রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।

তারপর ওর মধ্যে চিকেন কিমা দিয়ে নাড়াচাড়া করে বাটা মশলা ও গরম মশলা গুঁড়া বাদে সব গুড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। তারপর টমেটো কুচি ও মটরশুঁটি দিয়ে কষিয়ে গরম মশলা গুঁড়া আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।

এবার মাখা ময়দা থেকে লেচি কেটে একটু লম্বা আর অল্প চওড়া করে বেলে একদিকে মাটন কিমার পুর চওড়ার দিকে আড়া আড়ি করে দিয়ে মুড়ে নিতে হবে অনেকটা সিংগাড়া এর মতো।

মুখের দিকে একটু পানি লাগিয়ে চেপে আটকিয়ে দিতে হবে।মাংসের ঝাল পিঠা বানিয়ে কড়াইতে সাদা তেল গরম করে একটু সময় নিয়ে দু পিঠ সোনালী করে ভেজে নিতে হবে।

মাছ পিঠা

মাছ পিঠা


উপকরণ:
খামির জন্য:
১ কাপ ময়দা, পরিমান মত পানি, ১ চা চামচ ঘি, স্বাদ মত লবন

পুরের জন্য:
মাঝারি সাইজ এর ১ টি পেঁয়াজ কুচি
৩/৪ টি কাঁচা মরিচ কুচি
১ কাপ সেদ্ধ কিমা
আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া
১ চা চামচ শুকনা মরিচ গুঁড়া
১ চা চামচ আদা বাটা
১/২ চা চামচ রসুন বাটা
পরিমান মত ধনে পাতা কুচি
লবণ স্বাদমতো
তেল পরিমাণ মত
লবংগ কয়েকটি

প্রনালী:
প্রথমে এক কাপ ময়দার মধ্যে পরিমান মত লবন দিয়ে ,তার সাথে এক চা চামচ ঘি দিয়ে মেখে নিতে হবে। এরপর একটু একটু পানি দিয়ে একটা ময়ান দিয়ে ডো তৈরি করে নিতে হবে।

কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে, তেল টা একটু গরম হলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ কুচিটা একটু নরম হলে; হাফ চামচ হলুদের গুঁড়ো আর এক চামচ মরিচের গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ মসলা কষিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর যখন তেলটা উঠে আসবে তখন এর মধ্যে দিতে হবে সিদ্ধ করা কিমা। কিমা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে। নামানোর আগে কিছুটা ধনিয়া পাতা দিয়ে দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মাছ পিঠার পুর।

এবার পিঠা বানানোর পালা। ময়দার ডো থেকে কিছুটা করে লেচি কেটে নিয়ে লম্বা করে একটা রুটি বেলে নিতে হবে। মাঝখানে পুর রেখে দুই সাইড থেকে চাকু দিয়ে ফিতার মত করে ফালি করে কেটে নিতে হবে। এবার এই ফিতাগুলো দিয়ে পুরটা ঢেকে মাছের শেপে তৈরি করে নিতে হবে মাছ পিঠা। লবংগ দিয়ে মাছের চোখ বানিয়ে নিতে হবে। পিঠা বানানো হয়ে গেলে পরিমাণমত তেলে ভেজে নিতে হবে।

ভাজা পুলি পিঠা

ভাজা পুলি পিঠা


উপকরণ:
চাউলের গুড়া ২ কাপ, লবন পরিমান মত, পানি পরিমান মত,তেল পরিমান মত।
পুর: সেদ্ধ মুরগির মাংস ১ কাপ, পেয়াজ কুচি ১ কাপ, কাচামরিচ ৫-৬টা, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে-জিরা গুড়া ১ টেবিল চামচ, গরম মশলা ১/২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণ মত।

প্রনালী:
পুর: একটি প্যানে তেল গরম করে এতে পেয়াজ কুচি ভেজে এর মধ্যে আদা-রসুন বাটা, ধনে-জিরা গুড়া, লবণ, কাচামরিচ কুচি, গরম মশলা গুড়া দিয়ে নেড়ে এতে সেদ্ধ মাংসটা দিয়ে নেড়ে ভেজে নামিয়ে নিন। এটাই পুর।

৪ কাপ গরম পানিতে চালের গুঁড়ি ও লবন দিয়ে কাঠের চামচ দিয়ে নাড়ুন। এবার এটা ভালো করে মথে ডো তৈরি করুন। হাতে একটু তেল দিয়ে মথবেন।

এই ডো থেকে ১৫-১৬টি ভাগ করুন। একেকটি ভাগ হাতের তালুতে দিয়ে গোল করে পিঠা তৈরি করুন। ভিতরে মাংসের পুর ভরুন। গরম ডুবো তেলে ভেজে নিন।

চিতই পিঠা

চিতই পিঠা


উপকরণ:
পোলাওয়ের চাল ২ কাপ
লবণ আধা চা-চামচ
পানি এক কাপ
সেদ্ধ চাল ১ টেবিল চামচ

প্রনালী:
চাল ভালো করে ধুয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। প্রথমে আধা কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে লবণ মিশিয়ে আরও আধা কাপ অথবা পরিমাণমতো পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন।

ননস্টিক কড়াই বা প্যান ভালো করে গরম করুন। সামান্য তেল ব্রাশ করা যেতে পারে। এবার ডালের চামচের ২ চামচ ব্যাটার দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ মিনিট পর ঢাকনা খুলে পিঠা উঠিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এভাবে প্রতিটি পিঠা তৈরি করুন। তারপর মুরগির মাংস সহ পরিবেশন করুন।

সেধধ কুলি পিঠা

সেধধ কুলি পিঠা


উপকরণ:
পিঠার জন্য:
চালের গুঁড়া ২ কাপ
লবণ ১ চা-চামচ
তেল ১ চা-চামচ
পানি আড়াই কাপ

পুর:
দুধ ১ লিটার
গুড় পরিমান মত
চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
নারকেল কোড়া ২ টেবিল চামচ

প্রনালী:
পুর:
একটি ছড়ানো কড়াই বা প্যানে চালের গুঁড়ো টেলে নিন। লবণ দিয়ে ভাজবেন। চালের গুঁড়ির রং পরিবর্তন হওয়ার আগে নামিয়ে রাখুন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে তাতে গুড় ও চালের গুড়ি, নারকেল কোড়া দিয়ে নেড়ে ঘন করে নামিয়ে নিন। এটাই পুর।

পিঠা:
চাল ধুয়ে ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভালো করে পানি ঝরিয়ে পেপার ন্যাপকিনে রাখুন। পানি শুষে নিলে গ্রাইন্ডারে গ্রাইন্ড করুন অথবা মেশিনে ভাঙিয়ে নিন।

৪ কাপ গরম পানিতে চালের গুঁড়ি ও লবন দিয়ে কাঠের চামচ দিয়ে নাড়ুন। এবার এটা ভালো করে মথে ডো তৈরি করুন। হাতে একটু তেল দিয়ে মথবেন।

এই ডো থেকে ১৫-১৬টি ভাগ করুন। একেকটি ভাগ হাতের তালুতে দিয়ে গোল করে পিঠা তৈরি করুন। ভিতরে পুর ভরুন।

হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে তার ওপর ঝাঁঝরি বোল বসিয়ে পিঠাগুলো বিছিয়ে দিন। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ঝাঁঝরির ওপর একটি পাতলা মসলিন বা সুতি কাপড় বিছিয়ে নিতে পারেন। পনেরো থেকে আঠারো মিনিট ভাপ দিন। নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ঝিনুক পিঠা

ঝিনুক পিঠা


উপকরণ:
চাউলের গুড়া ২কাপ
লবন পরিমান মত
পানি পরিমান মত
সিরার জন্য: গুড় ও অল্প পানি
তেল ভাজার জন্য।

প্রণালী:
পানি ও লবন দিয়ে ভালো করে ফুটাতে হবে। পানি ফুটে উঠলে চাউলের গুড়া দিয়ে সেদ্ধ করে ভালো করে মেখে নিতে হবে। তার পর ঝিনুকের মত আটা নিয়ে দুইটা নতুন চিরুনি দিয়ে একটার উপর আর একটা চিরুনি দিয়ে চাপ দিতে হবে।তার পর ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
গুড়ের সিরায় গরিয়ে নিন। কয়েক দিন রেখে এই পিঠা খাওয়া যায়।


ভাপা পিঠা

ভাপা পিঠা


উপকরন:
চালের গুঁড়া – ৪ কাপ
পানি – পরিমান মত/ আন্দাজ মত
গুঁড়া নারিকেল – ১/৮কাপ
লবন – পরিমান মত
খেজুরের গুড় – ১ কাপ
নারকেল কুরানো – ১/২ কাপ

প্রনালী:
প্রথমে চালের গুড়া, গুঁড়া নারিকেল, স্বাদমতো লবন এবং অল্প অল্প পানি দিয়ে ঝুরঝুরে করে বা চালের গুড়াটা হাত দিয়ে ধরলে ভেজা ভেজা লাগে করে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার চালের গুঁড়ি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩/৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। পরে বাঁশের চালুনি দিয়ে চেলে নিন। ভাপা পিঠার বানানোর পাতিলে বা একটা হাড়িতে অর্ধেক এর একটু বেশি পানি দিয়ে তার উপর ছিদ্র করা ঢাকনা দিয়ে চারিদিকে ময়দার খামির করে আটকে দিন।

পানি ফুটে যখন ভাপ বের হতে শুরু করবে তখন ভাপা পিঠা বানানোর বাটিতে গুঁড়ি দিয়ে মাঝখানে গুড় ও নারিকেল দিয়ে তারউপর গুঁড়ি দিয়ে ঢেকে বাটি ভরে সমান করে দিন।

এবার এক টুকরো ভেজা কাপড় দিয়ে বাটির গুঁড়ি ঢেকে দিয়ে উল্টে পিঠা তৈরির পাতিলের ভাপের মুখে বসিয়ে দিন। আলতো ভাবে বাটি তুলে ফেলতে হবে। কাপড় দিয়ে পিঠা ঢেকে তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতিবার পিঠা দেয়ার আগে কাপড় ভিজিয়ে নিতে হবে। এবার পরিবেশনের পাত্রে নিয়ে পরিবেশন করুন দারুন মজাদার ভাপা পিঠা।


এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *