Short Story – BonParty r Jungle

   বনপাটির জঙ্গল
(নলিনী বেরা)

||এক||

মঙ্গল সোরেনের স্ত্রী সোমবারি। অমন কালো দিঘির জলের মতো সাঁওতালী বউটা ডাইনী হয়ে গিয়েছে। মঙ্গল তাকে খুব মারধর করেছে। ডাঙ্গর সাই গ্রামের জগমাঝিরা তাই সভা ডেকে তাদের দুজনের ভিতর ছাড়াছাড়ি করে দিচ্ছে।

গ্রামের মাথায় শালগাছের তলায় সভা বসেছে। স্বামী-স্ত্রী আর বিচারকদের ঘিরে ধরে আছে গ্রামেরই লোকজন। মজা দেখতে দূর দূর গ্রাম থেকেও লোক আসছে। কলরব শোনা যাচ্ছে। যেন তারা বলাবলি করছে – চল চল! সত্বর না যাইলে দোল ফুরাইয়া যাইবে। আমাদের সম্মুখেই মঙ্গল তাহার বউকে আবার পিটাইবে তো ?

মঙ্গলের বাড়ির উঠোনে অবশ্য তেমন কোনো ব্যস্ততা নেই। সবকিছুই হচ্ছিল খুব ধীরে সুস্থে। যেন এরকমই তো হওয়ার কথা ছিল – না হয় দুদিন আগে দুদিন পরে। এমনকী মঙ্গলের ‘ঘুসুরটা’, ঘুসুর তার মানে শুওরটা, যে কী না বাড়ির উঠোনেই শুয়েছিল – এত লোকজন দেখেও এতটুকু নড়ল না। বস্তুত মঙ্গলের ঘরের তেমন ছিরি-ছাঁদ নাই। শালগাছের ডাল থেকে ঝুলছে ছেঁড়া কাঁথা, ছেঁড়া ‘চাটিয়া’। আরেকদিকের ডাল থেকে একটা শত পুরাতন বোতল। কে জানে কী আছে তার ভিতর আর কত শত বৎসর ধরেই বা সেটা ঝুলছে এমনি করে !

স্বামী-স্ত্রী সামনাসামনি দাঁড়িয়ে। অথচ চোখ তুলে কেউ কাউকে দেখছে না। – না মঙ্গল না সোমবারি। দুজনের ভিতর এরমধ্যেই রাখা হয়ে গেছে ঘটি। তারমানে ব্যাপারটা গড়িয়েছে অনেকদূর। একবার যেন চোখ তুলে দেখল মঙ্গলের বউটা – তার চোখদুটো কটা ! ডাইনী কি এমনি বস্তু ? এই যদি ডাইনীর চেহারা হয় – কটা চোখ, মুগুরের মতো শরীর, কোঁকড়ানো চুল, কামার্ত ঠোঁটজোড়া – তবে তো তারা খুব সুন্দরী।  এমন জিনিস হাজারে একটা হয়। এই সুন্দরী সন্তানহীনা রমণী, রাত্রে, হাত দুটো পা দুটো উলটে অনায়াসে হেঁটে যায় ? তাও আবার কপালে জ্বলন্ত প্রদীপ রেখে ? বিশ্বাস হয় না। ভাত-ডাল এত সব সুখাদ্য ফেলে গু খায় ? বিশ্বাস হয় না। বিশ্বাস হয় না, বিশ্বাস হয় না – একথা হাজারবার বললেও উপস্থিত মাতব্বররা মানবে কেন ?

স্ত্রী যদি অন্যের সঙ্গে শোয়, স্ত্রী যদি স্বামীর সঙ্গে শুয়েও অন্যের হৃদয় পর্যন্ত দেখতে পায়, আর দেখতে পেয়ে তার হৃদ-যকৃতটা চুক চুক করে খেয়ে ফেলে, অর্থাৎ স্ত্রী যদি ডাইনী হয় – তবে স্বামী-স্ত্রীর ভিতর ‘ডিভোর্স’ হয়। মঙ্গলের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিল – বিচ্ছেদের আবেদনটা নিয়ে এসেছে সে-ই। আর মঙ্গলের মায়ের ঘন ঘন ঘর-বাহির করা দেখে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল না – বউকে খেদিয়ে দিতে ছেলেকে উসকে দিয়েছে সে-ই। মঙ্গলের বাবা গুরা জুলু জুলু চোখে একবার দুজনের দিকে একবার দশজনের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখছে।  তার কাছে – বেটার বউ থাকলে হয়, না থাকলেও হয়।

ডিমপাড়া একটা মুরগী এসময় খক্ খক্ করে ভুলক্রমে এদিকে উড়ে আসায় তাকে তাড়িয়ে দিতে হেট্ হেট্ শব্দে দিঙ্ নিনাদ করে দৌড়ে গেল গুরা। ঝটিতি সেদিকে তাকিয়ে চোখের জল চাপতে ঠোঁট কামড়ে ধরল সোমবারি।

সাঁওতাল পাড়ার মাতব্বর কুলাই মাঝি ‘ঠারে’ বলল, “এ বাবু, আলেদ সিঞ বোঙ্গা, মঁড়ে বুরু বোঙ্গা আর হাপড়ামকোওয়াক্ সাহায়তে বৎস, সিঞ বোঙ্গা মঁড়ে বুরু বোঙ্গা ও পূর্বপুরুষদের সহায়তায় ডাকদিকে মুনিয়া পাখি আর বাঁদিকে কাঠঠোকরা পাখি রেখে লাড়লতা ও বান্দোলতা দিয়ে আমরা তোমাদের বিবাহবন্ধনে এক করে দিয়েছিলাম। একদিনের জন্য নয়, কিন্তু সারা জীবনের জন্য, বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত যতদিন না মৃত্যু তোমাদের আলাদা করে। তোমাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ার জন্য আমাদের দোষ নেই; আমরা কি করব ? এবার তোমরাই নিজের মনে বিচার করে দেখ। পরে বল না যে লোকেরাই আমাদের ছাড়াছ করে দিল। এবার তুমি সিঞ বোঙ্গা, মঁড়ে বুরু বোঙ্গাও পূর্বপুরুষদের দোহাই দিয়ে পাতা ছিঁড়ে ফেল নতুবা ‘তালাক’ হবে না……।

এসময় সভার মধ্য থেকে কে যেন চেঁচিয়ে উঠল – “এসব কী হচ্ছে ? ডাইনী যখন সাব্যস্ত হয়েছে, তখন এ-গ্রাম থেকে এ-পরগণা থেকে মেরে তাড়িয়ে দিলেই তো হয় ?”

আরো দু-চারজন মারমুখী হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে গলা মিলাল। সভায় একটা সোরগোল উঠল। তাতে ভয়ে এতটুকুও কেঁপে উঠল না সোমবারি। বরঞ্চ সেই কোন সুদূর নয়াগ্রামের ভালিয়াঘাটি থেকে খবর পেয়ে মেয়েকে নিতে আসা সোমবারির বাবা টপা সাঁওতাল আতঙ্কে আকাশে দু-হাত তুলে উঠে দাঁড়াল, মুখ দিয়ে তার কোনো কথা বেরুল না।

গ্রামের জগমাঝি দু-হাতের ঝাপটা দিয়ে আনপড় যুবকদের থামিয়ে দিল – “বস, বস !” তারপরই বলল, “খেদাতে কেন হবে – মেয়েকে বরাবরের জন্য নিয়ে যেতে তো তার বাবা-ই এসেছে। লে মঙলা, ‘শালপতর’ ছিঁড়ে ফেল !”

তিনটি শালপাতা হাতে ধরেই দাঁড়িয়ে ছিল মঙ্গল, সূর্যদেবের দিকে মুখ করে। আদেশ পাওয়া মাত্রই বাঁ পায়ে ভর দিয়ে পাতা তিনটি ছিঁড়ে ফেলল। ডানপায়ের লাথি মেরে জলভরা ঘটিটা উল্টে দিল। আর এ-দুটো কাজ সে এত দ্রুততার সঙ্গে করল যে সভাস্থ লোকজন “সাধু সাধু” করে উঠল। অনুরূপ কাজ করতে বলা হল মঙ্গলের স্ত্রীকেও, সে কিন্তু কাজ দুটো করল খুবই ধীরে – পাতাগুলো ছিঁড়ল কি ছিঁড়ল না, পা যেন তার আর চলতে চায় না। শেষ অব্দি সে গড় করতেও ভুলে গেল গ্রামের পাঁচজনকে।

কাঁদল না – কান্নাকে ঠোঁটে কামড়ে ধরেই আদিবাসী কাঠিন্যে বাবার আগে আগে হাঁটতে লাগল সোমবারি। তবে এখন আর ধীরে ধীরে নয়, হাঁটতে লাগল বেশ দ্রুততার সঙ্গেই। পিত্রালয়ের দিকে, তার ফেলে আসা গ্রামের দিকে।

||দুই||

যেমন জঙ্গলের মধ্যে থাকে আরেকটা জঙ্গল, তেমনি গ্রামের মধ্যে থাকে আরেকটা গ্রাম। সেই মধ্যবর্তী গ্রামের মজলিশে চর্চা চলছিল এক ‘রাত – পুতড়ি’ বা গল্পকথার। চর্চাটা আগেও ছিল, সম্প্রতি বেড়েছে। জনা কয়েক যুবক, তারমধ্যে ‘গিরিহা’ পিত্যা হাঁসদার গরু বাগাল বুধন মান্ডিও আছে, আলোচনা করছিল এক গুহ্য-বৃত্তান্তর। বৃত্তান্তটা এই – মহাদেব এক মানুষকে গোপনে এক বিদ্যা দিলেন – তন্ত্রমন্ত্র, ওষুধের গুনাগুণ, শিকড়বাকড়ের উপযোগিতা, তুকতাক আর ঝাড়ফুঁকের। সেই লোকটা আবার তার দুই চেলাকে সে বিদ্যা দান করল। তবে সব নয়, অর্দ্ধেকটা। একদিন আচমকা গুরুকে সাপে কাটল। বাঁচাতে হলে অমৃত চাই। মহাদেব সে অমৃত দিলেন না। অগত্যা গুরুকে মরতে হল। মরবার আগে সে বলে গেল – শ্মশানে তার যকৃতটা দুই চেলা যেন খেয়ে ফেলে, তারপর পুড়িয়ে গোটা শরীরটাও যেন খায়। তবে বাকি অর্দ্ধেক বিদ্যা তারা পেয়ে যাবে। শ্মশানে গুরুর যকৃতটা বের করে পাতায় মুড়েও রাখল শিষ্যদ্বয়। তার উপর গুরুর শরীর পুড়িয়ে খাওয়ার উদ্যোগও করল তারা। এমন সময় মহাদেব এসে বললেন – ছিঃ এই তোদের গুরুভক্তি ! গুরুর শরীর পুড়িয়ে খাওয়া ! তখন লজ্জায় ঘৃণায় মহাদেবের কথায় যকৃত সহ গুরুর শরীরটা নদীজলে ভাসিয়ে দিল তারা। পাতায় মোড়া যকৃত ভাসতে ভাসতে এসে পড়ল গঙ্গায়। গঙ্গায় তখন এক প্রৌঢ়া তার একুশজন কন্যাকে নিয়ে স্নান করছিল। মেয়েরা ভাসন্ত পাতায় মোড়া যকৃত জল থেকে তুলে ভাগ করে খেয়ে ফেলল। আর তন্মুহুর্তেই তাদের জানা হয়ে গেল ‘ডাকিনী বিদ্যা’।

কে যেন বলল, “তাদেরই বংশধর সোমবারি। এ বিদ্যা তার মায়ের কাছ থেকেই পাওয়া। নিশ্চিত জানবি।”

এমন সময়ই টপা সাঁওতালের ঘর থেকে বেরিয়ে এল সাদা রংয়ের একটা ‘পুসি’। অর্থাৎ বেড়াল। নাচদুয়ারে ঘোরাঘুরি করে ফের ঢুকে গেল ঘরের ভিতর।

দেখেই লোকজন বলাবলি করল, “ওই দ্যাক্ – সোমবারির ত বেটাবেটি নাই, ওই পুসিটাকেই মরণকালে এ-বিদ্যা দিয়ে যাবে – কাউকে না দিয়ে তো আর নিস্তার নেই ! ততদিন অবশ্য পুসিটা বাঁচলে হয় !”

“বাঁচবে। ডাইনীর বেড়াল না ?”

ডাইনী হয়ে গেল সোমবারি। এখন ভাবতেই পারছে না পিতম হাঁসদার ‘ভাতুয়া’ ও গরুবাগাল বুধন মান্ডি। বাকিরা তাকে আবার সতর্ক করল এই বলে, “বুধু, তুই ত টপার ঘরে যাস-টাস, কথাও বলিস ঐ ‘ইয়েটার সঙ্গে, সাবধান কিন্তু! ডাইনীরা মানুষের কলজেটাও দেখতে পায় খালি চোখে। তার উপর সোমবারির চোখ ত পুসির মতন কাঁচ ফিট করা, কটা।”

টপা সাঁওতালের ঘরের নাচদুয়ারে বেড়ালটা আবার এল। এক দৌড়ে একধারের ভাবুর গাছটায় কিছুটা উঠে পড়ল। চারপায়ের নখ দিয়ে গাছের গুঁড়িটায় আঁচড়াল। আঁচড়ে কামড়ে ফের দৌড়ল ঘরের দিকে।

তাই দেখে মজলিশের লোকজন হায় হায় করে বলে উঠল, “ওই দ্যাক্দ্যাক্ ডাইনীটা নির্ঘাত কোনো তুক-গুণ করছে।”

ধুস ! এই সেদিনকার ওঠা-বসার সাথী চুন-দোক্তার সরবরাহকারী সোমবারি কী না রাতারাতি ডাইনী ! এসব আলোচনা বুধনের ভালো লাগছিল না, সে উঠে পড়ল। বলল – তার কাজ আছে।

কাজ, কাজ। ‘কিমীড়’ অর্থাৎ ধনী পিতম হাঁসদার ‘বাখুলে’ কাজের কোনো শেষ নেই। এই সিজা ধান রৌদ্রে মেলা হল, পড়ে পড়ে শুকনা হল।  শুকনা ধান বস্তাবন্দী হয়ে গাড়িতে উঠল। গরুর গাড়ি চলল নদী সে পারে রোহিনীগড়ের ‘বাবুঘরে’, হাস্কিং মেশিনে। সামনে ‘হিরোহণ্ডা’ ভটভটি বাইক চালিয়ে পিতমের বড়বেটা দাবানল হাঁসদা। তার আগে পান থেকে চুন – সবই ত সাজিয়ে দিতে হয় বুধনকে !

ঘরে ঢুকতে ঢুকতেই শুনতে পাচ্ছে পিতমের ‘বাহু’ পার্বতী বুড়ি চেঁচাচ্ছে, “বুধন উকুরিচ ? নিতহঁবায় হেচএ না ?” কোথায় বুধন ? এখনো আসছে না ? গোধূলির উড্ডীয়মান ধূলিকণা থিতিয়ে গেছে কখন, গোহালে গরুগুলিও বন্দী। কিন্তু এখনো তাদের খড়ভুষি, দানাপানি জুটল না! তাই বুধনের খোঁজ পড়েছে। “-বু-ধন ! বু-ধ-ন!!”

প্রবেশমাত্রই উগ্রচন্ড পিতম হাঁসদার বাড়ি পড়ল পিঠের উপর ! চিৎকার করে বলছে, “নরকরিনিচ গিদরী আম অকাতেন সেনলে নাম ?” নরকের বাচ্চা, কোথায় গিয়েছিলি ? “সেই ‘ডান’টার বাড়ি ?”

একটা কথাও বলল না বুধন, উত্তর দিল না লেখাপড়াজানা অথচ বদরাগী পিতমের প্রশ্নের। ঘ্যাঁস্ ঘ্যাঁস্ করে খড় কাটল, ‘বিরি’র ভুষি। তারপর ‘তাড়ে’ জল ঢেলে জাবনা গুলে দিল গরুর। আহাররত গরুগুলোর গলকমূলে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে আদরও করল বুধন। কুঁদি, রাঙা, চোর, বাঁটু, বড়কা –কত কী নাম গরুগুলোর ! এসব নামকরণ তো তারই করা।

অন্ধকার, জাবনা গলাধঃকরণের হেঁস-ফ্যাঁস আওয়াজ, আর জ্বলন্ত জোড়া জোড়া চোখ গরুগুলোর- জ্বল জ্বল করছে! জ্বলজ্বল করছে,জ্বলজ্বল করছে। কিছুক্ষন অন্ধকারে গোহালঘরে থাকতে থাকতে বুধনের হঠাৎ যেন মনে হল এরকম চোখ সে দেখেছে! সারা মুখ গামছা বাঁধা শুধু চোখদুটো খোলা, গরু চরাতে চরাতে। ‘অকারে ঞেলকাৎতামা’? কোথায় আমি দেখেছি ?

কোথায় আবার ! বনে,’বনপাটি’তে। ’বনপাটি’, ’বনপাটি’।

মালকিন খেতে ডাকল। সেই দরজার বাইরে, প্রায়ান্ধকার ঘুপচীতে, ডিমে ‘তা’ দেয়া মুরগীর খাঁচাঘরের পাশে। একটা ‘মামড়ি’ –ওঠা প্রায় নিভু নিভু ‘ডিবরি’ জ্বলছিল। শুধুমাত্র আজ নয়, যেন বুধনের বাপের আমল থেকেই ডিবরিটা জ্বলে আসছে। এখানে এই ঘরেই এই জায়গায় একই ভঙ্গিতে তার বাপ শরাবন মান্ডিও খেতে বসত। অবিকল একই ভঙ্গিতে তাদের জন্য নির্দিষ্ট করা তোবড়ানো ‘জাম’ গামলায় আমানিসহ ভাত গদ্ গদ্ করে ঢেলে দিত ‘গিরিহান’। সঙ্গে নুন, কাঁচালঙ্কা আর এক খামচা সজনা কি নাহাঙা শাকভাজা।

আজ নাহাঙা। বুধন মান্ডি খেতে বসল। তার আওয়াজ পেয়ে ডিমে ‘তা’ দিতে বসা মুরগীটা কোঁক্ কোঁক্ করে বারকতক আওয়াজ দিল। বুধন খাচ্ছে। খাওয়া যখন সমাপ্তির পথে মালকিন এসে আরো কিছুটা আমানি ঢেলে দিয়ে বলল, “লে, খা!”

আমানিসহ গামলাটা দুহাতে ঠোঁটের কাছে তুলে ধরে গামলায় চোখ-মুখ ঢেকে চোঁ-ক্ চোঁ-ক্ শব্দে মুহূর্তে নিঃশেষ করে দিল বুধন। চোখ-মুখ থেকে গামলা সরাতেই সে দেখল – সন্মুখে সোমবারির সেই সাদা রংয়ের বেড়ালটা ! অন্ধকারে স্পষ্টত চোখদুটিতে কাঁচ ফিট করা, কটা। জ্বলছে !

ভয়ার্ত বুধন ফিস্ ফিস্ করল শূন্য গামলা দেখিয়ে, “আর নাই, ‘বাঞ এম দাড়েয়াদা’, দিতে পারছি নাই” বেড়ালটি চোখ বুজে ডাকল, “মাও !” 

( ক্রমশ )

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *