short-story-dekha-hbe

দেখা হবে
সৈকত মুখোপাধ্যায়
 



অবন্তিকা সান্যালের মতন একটা রাশভারী নাম শুনলে, নামের মালকিন সম্বন্ধে আপনাদের কী ধারণা হয় জানি না। কিন্তু এই গল্পের অবন্তিকা সান্যাল মাত্রই সতেরো বছরের একটা মেয়ে। ক্লাস টুয়েলভে পড়ে, সায়েন্স নিয়ে।
অবন্তিকার গায়ের রঙ খুব ফর্সা। এটা নিয়ে তার মনে অশান্তি আছে; সে ছুটির দিনে গায়ে রোদ্দুর লাগিয়ে ট্যানড হবার চেষ্টা করে। তার হাইট বেশি নয়; এটা নিয়েও অবন্তিকার মনে অশান্তি আছে, সে লম্বা হবার জন্যে স্ট্রেচিং-এক্সারসাইজ করে। সর্বোপরি তার গড়নটা গোলগাল। এটা নিয়ে অবন্তিকার মনে অশান্তি আছে বললে কম বলা হবে। বলা উচিৎ, বীভৎস আত্মগ্লানি রয়েছে। যে মেয়ের জীবনের ধ্রুবতারা হচ্ছে আলিয়া ভাট, তার নিজের বডি-ওয়েট সাতষট্টি কেজি! অবন্তিকা মেঝেতে পা ঠুকে, চুলের মুঠি খামচে ধরে মাঝেমাঝেই চিৎকার করে — এটা ক্রাইম, ক্রাইম। এটা সিম্পলি মানা যায় না।
যাগগে, এসব নিয়ে আপনারা বেশি ভাববেন না। আপনারা জানেন, যে-কোনো সতেরো বছরের মেয়ের জীবনই সাতশো-রকমের অশান্তি দিয়ে তৈরি। পান্তুর বাবা মাঝে-মাঝে ওর মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আর দুটো বছর কোনোরকমে সহ্য করো। টিন-এজটা পেরিয়ে গেলেই দেখবে পান্তু অনেক শান্ত হয়ে গেছে।
ও, দেখেছেন? বলতে ভুলেই গেছিলাম, অবন্তিকার ডাকনাম পান্তু। এই বিচ্ছিরি ডাকনামটা নিয়েও, বুঝতেই পারছেন, অবন্তিকার মনে ঘোর অশান্তি রয়েছে।
তো, ওজন কমানোর জন্যে অবন্তিকা প্রায় প্রতিদিনই সন্ধের মুখে বাড়ির ছাদে বিশমিনিট জোরে-জোরে হাঁটে; তারপর দশমিনিট ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করে। সেদিনও সন্ধের মুখে অবন্তিকা ওয়ার্ক-আউট সেরে কুল-ডাউন করছিল। বেশ লাগছিল তার। বসন্তকাল। ফুরফুরে বাতাস বইছিল। টাওয়েল দিয়ে গাল গলার ঘাম মুছতে-মুছতে অবন্তিকা মুগ্ধ হয়ে দূর থেকে ভেসে-আসা এক কোকিলের ডাক শুনছিল। হঠাৎ সেই কোকিলের ডাককে চাপা দিয়ে তারস্বরে কুকুরের আর্তনাদ ভেসে এল — কেঁউ কেঁউ কেঁউ কেঁউ। আওয়াজটা এলো ওদের বাড়ির পেছনের খালি জমিটার দিক থেকে।
অবন্তিকা দৌড়ে গেল ছাদের ওইদিকটায় এবং আলসে থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে যা দেখল, তাতে ওর মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল। ও দেখল, একটা টিংটিঙে রোগা ছেলে ওই পোড়ো জমিটার একদিকে হাঁটু গেড়ে বসে আছে আর ছেলেটার হাঁটুর নিচে চার-পা তুলে চিৎ হয়ে পড়ে আছে একটা নেড়িকুকুর।
অবন্তিকার সন্দেহ রইল না যে, ছেলেটা ওদের বাড়িতেই চুরি করতে এসেছিল। কুকুরটা ওকে বাধা দিয়েছে বলে ও কুকুরটাকে মেরে ফেলছে। ওই যে কেঁউ কেঁউ আর্তনাদ, তা আসলে অসহায় কুকুরটার মৃত্যু-চিৎকার।
এটা বুঝতে পেরেই অবন্তিকা কুকুরটার থেকেও জোরে চিৎকার করে উঠল – এই! এইইইই! তুমি কী করছ? ভাবছ কেউ দেখতে পাচ্ছে না? দেখবে? ওয়ান-জিরো-জিরোতে কল করব? পুলিশ এসে ধরবে তোমাকে।
চোরটা কিন্তু একেবারেই বিচলিত হল না। দৌড় লাগানো তো দূরের কথা, উঠে দাঁড়ালো না অবধি। ওই অবস্থাতেই ঘাড় তুলে অবন্তিকার দিকে তাকিয়ে স্মার্টলি বলল, নোনাপুকুরের ছেলেকে পুলিশ দেখাস না। তোর কাছে একটা ব্যান্ডেজ হবে? অ্যাটলিস্ট একটা কাপড়ের স্ট্রিপ? বেচারার পা-টা গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে গেছে মনে হচ্ছে।
মুখটা দেখেই অবন্তিকা ছেলেটাকে চিনতে পারল। ওর নাম রুদ্র। রুদ্র মুখার্জী। অবন্তিকাদের স্কুলেই পড়ত, ওর চেয়ে দু-বছরের সিনিয়র ছিল। খুব ভাল ছেলে। জয়েন্টে মেডিকাল ক্র্যাক করেছিল। এখন বোধহয় এন.আর.এসে পড়ছে।
শুকনো গলায় অবন্তিকা বলল, স্যরি রুদ্রদা, চিনতে পারিনি। আমি আসছি।

# # # # #




অবন্তিকা একটু দূরে দাঁড়িয়েছিল। রুদ্র নেড়িকুকুরটার মাথায় হাত বুলোতে-বুলোতে বলল, তোকে চিনি। আমাদের স্কুলেই পড়িস, তাই না? নামটা কী যেন।
আমার নাম অবন্তিকা। অবন্তিকা সান্যাল।
অ বন তি কা? নিকনেমটা বল না প্লিজ, ডাকতে সুবিধে হবে। বান্টি? নাকি বাবলি?
রুদ্রর ট্যারাচোখে তাকানো দেখেই অবন্তিকা বুঝতে পারল ওই বাবলি নামটা আসলে তার গাবলুগুবলু চেহারার দিকে একটা তির্যক ইঙ্গিত। তার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বলল, ডাকবার দরকার নেই তো। ব্যান্ডেজ চেয়েছিলে, এনেছি। নিয়ে নাও, আমিও চলে যাই।
রুদ্র বলল, খচে যাচ্ছিস কেন? একটু আমার হাতে দিয়ে যা না!
অবন্তিকা বলল, ওরে বাবা, আমি কাছে যেতে পারব না। কুকুর-টুকুর এসব খুব ‘ক্রীপি’ জিনিস। লাফ মেরে গায়ে উঠে পড়ে।
রুদ্রর মুখ দেখে বোঝা গেল কুকুরকে ক্রীপি বলায় সে খুব দুঃখ পেয়েছে। দুঃখিত মুখেই বলল, ছুঁড়ে দে তাহলে। আমি উঠতে পারছি না। উঠলেই এ বেটি পালাবার চেষ্টা করবে।
অতঃপর অবন্তিকার ছুঁড়ে দেওয়া ব্যান্ডেজের সাহায্যে হবু-ডাক্তার রুদ্র মুখার্জী নেড়িকুকুরের পায়ের মচকানো জায়গা মেরামত করল। উপরন্তু পিঠের ব্যাগ থেকে ব্যথার ট্যাবলেট বার করে, বাপুজি-কেকের টুকরোর মধ্যে পুরে, কুকুরটাকে খাওয়ালো। নিজের জলের বোতল থেকে অবোলা প্রাণীটির মুখে জল ঢেলে দিল। সবশেষে ভারী গলায় বললো, চলি। আবার কালকে আসবো। ভালো মেয়ে হয়ে থাকিস।
অবন্তিকা ঠোঁট উলটিয়ে বলল, ভালো মেয়ের ডেফিনিশনটা একটু বলে দিয়ে যাও। তাহলে চেষ্টা করে দেখব।
রুদ্র বলল, কি মুস্কিল। তোকে বলিনি তো, কুকুরটাকে বলছিলাম।
ওঃ! তাহলে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলছ কেন? ওর দিকেই তাকিয়ে বলো না।
রুদ্র থতমত খেয়ে গেল। সত্যিই কি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলে ফেলেছিল নাকি? সিচুয়েশন সামলাবার জন্যে বলল, এইসব পথের কুকুর বেড়াল এরা বড় দুঃখি, বুঝলি। এই যে দ্যাখ, ইনিই যে পায়ে চোট পেয়ে পড়েছিলেন, আমি না দেখলে কী হত?
অবন্তিকা নাক কুঁচকে বলল, তাহলে তুমি গরুর ডাক্তার হলে না কেন? সারা জীবন ওদের বেশ ভাল করে দেখতে পারতে।

# # # # #





সেই মহিলা-কুকুর, প্রথম সন্ধেতেই রুদ্র যার নামকরণ করেছিল নেত্যকালী, তার জন্যেই পরের তিনদিন প্রতি সন্ধেয় রুদ্রকে কলেজ থেকে ফেরার পথে অবন্তিকাদের বাড়ির পাশ দিয়ে আসতে হল। প্রতিদিনই রুদ্র নেত্যকালীর পায়ের ব্যান্ডেজ পালটে দিল, ওকে ওষুধ খাওয়ালো। কিন্তু রুদ্রর শত অনুরোধেও অবন্তিকা নিজে কিছুতেই নেত্যকালীর কাছে ঘেঁষলো না। অবন্তিকার বাড়ির কাজের মাসি নেত্যকালীকে দু-বেলা খাইয়ে এলো বলে ওই তিনদিন খোঁড়া কুকুরটার অন্ন জুটলো।
আজ অবন্তিকার মা রুদ্রকে বাড়ির ভেতরে ডেকে নিজের হাতে জলখাবার বানিয়ে খাইয়েছেন। মেয়ের মুখে রুদ্রর কুকুর-প্রীতির কথা শুনে তার মনে হয়েছে, রীতিমতন মহৎপ্রাণ না হলে জীবজন্তুর ওপরে কারোর এত দয়া দেখা যায় না। তাতে অবন্তিকা রুদ্রকে শুনিয়েই বলেছে, মহৎপ্রাণই যে হতে হবে তার মানে নেই। ছিটগ্রস্ত হলেও একইরকম লক্ষণ দেখা যায়। পাড়ার হাপু পাগলাকে ঘিরেও সবসময় পাঁচটা কুকুর আর তিনটে বেড়াল বসে থাকে।
লুচি খেতে-খেতে রুদ্র অবন্তিকার দিকে ব্যাঁকাচোখে তাকিয়ে জিগ্যেস করেছিল – ফিলিং জেলাস?
হাউ ফানি। জেলাস হব কেন? যা সত্যি তাই বলেছি।
অবন্তিকার মা কড়া চোখে মেয়েকে ধমক দিলেন – ছিঃ। বাড়িতে কেউ এলে ওইভাবে তার সঙ্গে কথা বলতে হয়?
রুদ্রই রসগোল্লা চিবোতে-চিবোতে বলল, ছাড়ুন না আন্টি। বড় হলে নিজেই শুধরে যাবে।
অবন্তিকা ফুঁসে উঠল – যাও যাও! নিজে যেন কত বড়। সেদিন তো গ্যারেজ থেকে গাড়ি বার করতে গিয়ে উল্টোদিকের পাঁচিলে ধাক্কা মারলে। আমার কাছে ড্রাইভিং শিখবে?
রুদ্র মুখে রসগোল্লা নিয়ে বিষম খেল। তুই কেমন করে জানলি?
অবন্তিকার মাও অবাক হয়ে মেয়ের মুখের দিকে তাকালেন। তুই রুদ্রর বাড়ি চিনিস?
অবন্তিকা ঠোঁট উলটে বলল, কতবার ওকে দেখেছি বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কেত মারতে। তুমিও দেখেছ। হনুমান মন্দিরের উল্টোদিকের দোতলা বাড়িটাই তো। ওই যেটার গেটে একটা ক্যাঁটকেঁটে ম্যাজেন্টা রঙের বুগেনভিলিয়ার ঝোঁপ আছে।
একটু বাদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রুদ্র অবন্তিকাকে জিগ্যেস করল, তুই ওদিকে কোথায় যাস? বয়ফ্রেন্ডের বাড়ি নাকি আমাদের পাড়ায়?
অবন্তিকা মুচকি হেসে বলল, তা একরকম বলতে পারো।
কেরে? নামটা বল তো।
বলব? তার সঙ্গে লাগতে যেও না কিন্তু। গায়ে খুব জোর।
আরে ধুর। আমি কি রাস্তার গুন্ডা নাকি, যে লাগতে যাবো? বল না নামটা।
বজরঙ্গবলীজী। অবন্তিকা কপালে হাত ছোঁয়ালো। প্রতি মঙ্গলবার সন্ধেয় ওঁর মন্দিরে পুজো দিতে যাই। খুব জাগ্রত উনি।
রুদ্র কিছুক্ষণ অবাক হয়ে অবন্তিকার মুখের দিকে চেয়ে থেকে তারপর খেউ খেউ খেউয়া খেউয়া করে এমন অট্টহাসি হাসতে শুরু করল যে অবন্তিকার মনে হচ্ছিল, ছেলেটার গলাটা টিপে ধরে। একটু পরে হাসি থামিয়ে রুদ্র বলল, এহে, বাবলি! তুই একটা সায়েন্স-পড়া মেয়ে। হনুমান মন্দিরে প্রতি মঙ্গলবার পুজো দিতে যাস! নাঃ, তোর সঙ্গে আমার জমবে না।
অবন্তিকা বলল, শোনো! আমরা তোমার মতন ব্রিলিয়ান্ট নই তো। আমাদের পরীক্ষা পাশ করতে গেলে একটু ঠাকুর-দেবতা লাগে। এবার চলো, আমি পড়তে বসব।
রুদ্র বলল, গুডনাইট। কাল দেখা হচ্ছে।

# # # # # #




সেই মুহূর্তে রুদ্র কিম্বা অবন্তিকা কেউই জানত না যে, তারপরে অনেকদিন ওদের আর দেখা হবে না।
সেদিন সন্ধে থেকেই ভারতবর্ষের বুকে পরপর কিছু ঘটনা খুব দ্রুত ঘটে গেল। কিছু সিদ্ধান্ত নিলেন রাষ্ট্রনায়করা। প্রথমে একদিনের জনতা-কার্ফিউ। তারপর অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘোষিত হল টানা লকডাউন। করোনা-ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে, আরো কয়েক-কোটি মানুষের সঙ্গে আমাদের গল্পের অবন্তিকা নামের মেয়েটাও গৃহবন্দি হয়ে গেল। রুদ্রও তাই।
লক-ডাউনের নবম দিনে, সেটা ছিল এক মঙ্গলবার, অবন্তিকার ফোন বেজে উঠল। রুদ্র ফোন করেছে। অবন্তিকা যথাসম্ভব নিস্পৃহ গলায় বলল, হ্যালো।
ওদিক থেকে প্রথমে একটা গলাখাকারির আওয়াজ শোনা গেল। রুদ্র কী বলবে বুঝতে না পেরে সময় নিচ্ছে। তারপর বলল, নেত্যকালীর খবর নেওয়ার জন্যে ফোন করলাম। কিছু জানিস?
অবন্তিকা থমথমে গলায় উত্তর দিল, ভালো আছে।
তোদের কাজের মাসি তো নিশ্চয় এই লক-ডাউনের মধ্যে আসছেন না। কে ওকে খেতে দিচ্ছে তাহলে?
আমি।
তুই! বাবলি, তুই? রুদ্র ফোনের মধ্যেই প্রায় চেঁচিয়ে উঠল। ভয় পাচ্ছিস না? ঘেন্না লাগছে না?
‘বাবলি’ ডাকটা ঝর্নার বুকে একটা নুড়িপাথরের মতন টুংটাং শব্দ তুলে, গড়াতে-গড়াতে, অবন্তিকার বুকের অনেক গভীরে কোথায় যেন নেমে গেল। ও কোনোরকমে বলল, উঁহু। ঘেন্না করছে না, রুদ্রদা। আমি ওকে বলেছি তোমার আসতে কদিন দেরি হবে।
অনেকক্ষণ দুজনেই চুপ। তারপর রুদ্র হঠাৎ বলল, আমিও বলেছি, তোর দেরি হবে। আজকেই বললাম।
অবন্তিকা ভারি অবাক হয়ে বলল, তুমি আবার কাকে কী বললে?
প্রায় মরিয়া হয়েই রুদ্র একটানা গড়গড় করে বলে চলল, কেন, তোর ওই বজরঙ্গবলীকে। আজ সকালে বন্ধ মন্দিরটার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ বুকের মধ্যেটা কেমন যেন করে উঠল, জানিস? ঠাকুরের মূর্তি তো দেখতে পাচ্ছিলাম না, কিন্তু লাল সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো ফাঁকা চাতালটা দেখতে পাচ্ছিলাম। ঘন্টাগুলো কাপড়ের ঢাকনা দিয়ে মোড়া। ফুলের দোকান নেই, প্রসাদের ডালি নেই। সবচেয়ে বড় কথা সেই গরিব-দুঃখি লোকগুলোই বা কোথায় গেল ভেবে পাচ্ছিলাম না, যারা ওই চাতালটায় বসে থাকতো। আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম বুঝলি। বললাম, বস, দেখে নিও, সবাই ফিরে আসবে। বাবলিও ফিরবে। দেখো বস, তোমাকে বেশিদিন এরকম একলা থাকতে হবে না।
অবন্তিকা হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে চোখ মুছে নিয়ে ধরাগলায় ডাকল – রুদ্রদা!
বল।
তাহলে কি তুমি আমাকে …
রুদ্র চিন্তিতস্বরে বলল, সেরকমই মনে হচ্ছে। আচ্ছা, তুইও কি তাহলে আমাকে…?
ওদের মিলিত মৌনতার মধ্যেই করোনা-ভাইরাসদের আয়ু আরো কিছুটা ফুরিয়ে গেলো।


***********************



এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুন

 

16 thoughts on “short-story-dekha-hbe

  1. এই সময়ের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক গল্প পড়লাম। মন ভালো করে দিলে, সৈকত দা!

  2. মিষ্টি প্রেমের গল্প, বরাবরের মতই ভাল। সবখারাপের মধ্যেই ভাল থাকে, উঠে এল।

  3. আবার একটা অসম্ভব সুন্দর গল্প। মন ছুঁয়ে গেল। পজিটিভ এনার্জি পেলাম। খুব খুব ভালো লাগলো।

  4. আমি তো জানতুম,মেডিকেল পড়লে ছেলেরা গোমড়ামুখো হয়, 😆
    বেশ ভালো লাগলো গল্পটা।

  5. Bah!!! Besh bhalo to galpo ta. Rudra r Abantikar khuuub siggiri dekha hobe. Nettyo kalir pa tao sere jak.

  6. অসম্ভব সুন্দর৷গীতিকাব্যের মত৷অথবা,
    সুন্দর একটি গান শুনলাম মনে হল৷

  7. পি.কে ব্যানার্জী বলেছিলেন চচ্চড়ির মশলা দিয়ে বিরিয়ানী রাঁধা যায় না।

    ভুল বলেছিলেন।

    টিন-এজ প্রেমের মত বহু-চর্চিত, বহু-ব্যবহৃত এবং প্রায় ন্যাকামির পর্যায়ে চলে যাওয়া একটা বিষয়কে শুধু কলমের জোরে কোথায় পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটা এই গল্প থেকে শেখার।

    আমি গতকাল একজনকে বছিলাম – প্রেম এত স্পর্শকাতর যে খুব উচ্চকিত প্রকাশ তাকে লজ্জায় ফেলে। ভাবছি তাকে এই গল্পটা একবার পড়াব। আমাদের শেখা উচিত, প্রেমে কিভাবে লিখতে হয়।

    ধন্যবাদ সৈকতদা, ধন্যবাদ অপার-বাংলা!

  8. অসাধারণ লাগলো। কী ঝরঝরে লেখা। আর শেষটা তো…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *