short-story-kakulus-harsutas

কাকুলাস হারসুটাস
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী




অনেকদিন ধরেই আমি ফিরে যাব বলে ভাবছিলাম। যাবার সিদ্ধান্ত নেবার আগে আমার মনের ভেতর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ কবিতার মতো নানা রকমের টানাপোড়েন কাজ করেছে।

প্রথমেই মনে হয়েছে চল্লিশ বছর পরে ওখানে গিয়ে কী হবে? মা বাবাও তো বেঁচে নেই! আরও ভেবেছি আমার এতদিনের পরবাসী জীবন কি আবার আমার শুরুর সেই প্রাচীনকালের গ্রাম্য জীবন মেনে নেবে? ওয়াশিংটন শহরের বুকে প্রায় এক যুগ বসবাস করার পর আমি এখন স্বভাবতই কিছুটা অহংকারী হয়েছি। অহংকারী এবং আত্মসচেতন। এই শহরের বাতাসে আত্মসচেতনতার গন্ধ আছে। ফিরে যাবার ভাবনা মনে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি তা বারবার পরিত্যাগ করেছি। চেয়েছি নিজেকে ভালো করে যাচাই করতে। তবুও শিকড়ের কাছে আমাকে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতেই হল।

আটান্ন বছর বয়সে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ভাবলাম, আবার নতুন করে একবার জীবন শুরু করা যায়। একটা ঝুঁকি এবার বোধহয় নেওয়াই যেতে পারে। বহুদিন আমি এই পরবাসে মৃতের মত জীবন যাপন করেছি। ভালোবাসাহীন এবং একধরণের গতানুগতিকতায় ভরা ছিল আমার সেই জীবন। এক নিদারুণ সকালে আমার স্ত্রী মার্থা ঘোষণা করল আমার মতো কৃমি কীটের সঙ্গে এক ছাদের তলায় বাস করা এক ভয়ানক যন্ত্রণা। মার্থা একতাড়া কাগজ ছুঁড়ে দিল আমার দিকে। কোর্টের কাগজপত্র। সেই কাগজে সই করলে আমাদের মিউচুয়াল সেপারেশন সম্ভব। আমি রাজি হলাম। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের নাগরীকদের আমেরিকানরা বড় সস্তা আর তুচ্ছ মনে করে, মার্থার এই সস্তার খেলনাটি বেশ পুরনো হয়েছিল। অতএব তাকে মার্থা ছুঁড়ে ফেলল।

মার্থার চলে যাওয়া, এক মুহূর্তে আমাকে একলা করে দিল। আমাদের সন্তান নেই। মার্থার সঙ্গে মানসিক ব্যবধান অনেকখানি হলেও, সারাদিন পর বাড়ি ফিরে এসে ওর মুখটা অন্তত দেখতে পেতাম। বাড়িতে আর ভালো লাগল না। অফিস থেকে লম্বা ছুটি নিয়ে কলেরাডো চলে গেলাম। সেখান থেকে গ্র্যান্ড কেনিয়ান। লালচে রুক্ষ্ম পাথরে ভরা উপত্যকার উপর লম্বা লম্বা ঘাসের জঙ্গল। নায়াগ্রার অনন্ত জলরাশির পতন দেখতে দেখতে ভাবতে লাগলাম এবার সত্যি সত্যিই আমাকে ফিরতে হবে। এই সুবিশাল জলরাশির পতনেরও একটা লক্ষ্য আছে, কিন্তু আমার জীবনের কোনো লক্ষ্য নেই।



আমার নাম দীপ্তমান ভট্টাচার্য। আমার গ্রামের নাম গুরুদাসপুর। এটা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রামগঙ্গা অঞ্চলের একটা গ্রাম। একসময় এই অঞ্চল সম্পূর্ণটাই বাদাবন ছিল। পরবর্তীকালে মানুষ বসতি গড়েছে সেখানে। কয়েকটা গ্রাম নিয়ে এই অঞ্চলটা গদামথুরা নামে পরিচিত। আমাদের গুরুদাসপুরের মহিন্দ্র ইন্দ্র বিদ্যামন্দিরের ছাত্র ছিলাম আমি। আমাদের গ্রামের মধ্যে এই স্কুলটা বেশ নামকরা। আসপাশের গ্রামের অনেক ছাত্রছাত্রী আসত এখানে পড়তে। স্কুলে ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে পড়ত। গ্রামের দিকে প্রায়ই এমনটা হয়ে থাকে। ছেলেদের থাকার জন্য সেখানে আবাসিক হস্টেলের ব্যবস্থাও ছিল। স্কুল থেকে কিছুটা দূরে গোবোদিয়া নদী পেরিয়ে ওপাশটা হল পূর্ণচন্দ্রপুর। ঝাপসা মনে পড়ে নদী পেরিয়ে স্কুলে আসত অঙ্গনা। সে পূর্ণচন্দ্রপুরের মেয়ে। ওই জায়গাটাকে চলতি কথায় বলা হয় ষোলো নম্বর। নদীর জলের দু’পাড়ে ঘন সবুজ বন। মনে পড়ছে বনে নোনা মাটির বাইন, গরান, হিজল এইসব ম্যানগ্রোভের গাছ ছিল। বিকেলে শত শত শামুকখোল পাখি ভিড় করত গাছে গাছে। অঙ্গনা নৌকায় বসে নৌকা ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করত। সেই পড়ন্ত বিকেলে হাজার হাজার পাখির ডাকে মুখরিত হয়ে উঠত ওর যাত্রাপথ। আমি নৌকা ছেড়ে দিলে প্রতিদিন মুখ কালো করে ফিরে আসতাম। আবার একটা রাতের অপেক্ষা। অঙ্গনাকে ভালোবাসতাম আমি।

সেই কোন ছোটোবেলায় পূর্ণচন্দ্রপুরে মামাবাড়িতে গিয়ে ওর সঙ্গে খেলাঘর বেঁধেছিলাম। আমি খেলায় বাবার মত ব্যাগ হাতে মাঠে চাষে যেতাম। ব্যাগে মিছিমিছি ভরে নিতাম কোদাল, কাস্তে, নিড়ানি, দা। অঙ্গনা খেলাঘরের উনুন জ্বালত। আমি ফিরে এলেই জল এনে দিত। তারপর খেলাঘরে বসেই সত্যিকারের দই বানাত। কী এক লতার চার পাঁচটা পাতা জলে চটকাতেই তৈরি হত থকথকে সাদা দই। ঠিক যেন মায়ের তৈরি ঘরে পাতা দই। অঙ্গনা বলত জলজমানী পাতা। সত্যিই ওই পাতার রস জলকে জমিয়ে দিত। সেই রহস্যময়তাটুকু দেখব বলে আমি রোজ ওর সঙ্গে সংসার বসাতাম। পরে শুনেছি ওই পাতার বিজ্ঞান সম্মত নাম হল কাকুলাস হারসুটাস। নরম রসালো ওই গাছটা ছিল রোমে ভরা। আজও সেই পাতার সবজে গন্ধটা ভুলতে পারিনি আমি। খেলাঘরের বর বউ হতে হতে আমরা একসময় একই স্কুলে ভর্তি হলাম। অঙ্গনার মা ছিল না। ছোটো থেকেই ও অনেক কাজ করত। একটু বড় হওয়ার পর অঙ্গনা টিফিনে আমার জন্য মুড়ি আর তরকারি নিয়ে আসত। আমি বলতাম, “আমাদের জলজমানী পাতা আর কোথাও পাস না? সেই দইটা খুব খেতে ইচ্ছে করছে।”

কিন্তু ছোটোবেলার সেই জলজমানী লতা আর কোথাও খুঁজে পেত না অঙ্গনা। মাটিতে নুনের মাত্রা বাড়ছিল ক্রমশ। সুন্দরবনের নদীগুলো মজে যাচ্ছিল। ধীরে ধীরে পরিবেশ বদলে যাচ্ছিল ওখানকার। চাষের জমিগুলোও নোনা জলের দাপটে নোনতা হয়ে যাচ্ছিল।

মাধ্যমিক পাশ করার পর কলকাতা চলে গেলাম। কলকাতায় পিসীর বাড়িতে থাকতাম তখন। পড়ার চাপে অঙ্গনা হারিয়ে যেতে লাগল। খুব কমই বাড়ি ফিরতে সময় পাই। নোনা মাটির দেশের ছেলে আমি তখন ডাক্তার হবার স্বপ্নে মশগুল। অঙ্গনাকে যে মনে পড়ত না, তা নয়। শ্যামলা মুখ, আর দীঘল ছলছলে দুটো চোখ আজও ভুলিনি আমি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে গ্রামে গেলাম। অঙ্গনার তখন বিয়ের কথা চলছে। আমাদের দেখা হল গোবোদিয়া নদীর ঘাটে। তখন শেষ বিকেল। অঙ্গনা নৌকা থেকে নামল। একটা মকরবাহিনী মা গঙ্গার মন্দির আছে ঘাটে। আমি সেই ছোট্ট মন্দিরটার চাতালে বসে ছিলাম। অঙ্গনা এসে দাঁড়ালো। ওর মুখ চোখ শুকনো। দু চোখে গভীর কালি পড়েছে। বলল, “আমাকে বিয়ে করবি দীপু?”

আমি চুপ করে রইলাম। মনে মনে বললাম, “পাগল নাকি!”

নোনা দেশের ছেলে দীপ্তমান তখন ডাক্তার হবার স্বপ্নে মশগুল। জীবন থেকে গুরুদাসপুর আর পূর্ণচন্দ্রপুর অনেক দূরে সরে গেছে। অঙ্গনার দায়িত্ব নেওয়া আমার পক্ষে কিছুতেই তখন সম্ভব নয়। বোধহয় অঙ্গনাও সে কথা জানত। আমরা মন্দির চাতালে বসলাম। নোনা গাছের শ্বাসমূলগুলো বড় বড় কাঁটার মত উঁচু হয়ে আছে। জল এখন অনেক দূরে সরে গেছে। জেগে আছে পলি। ভাঁটা চলছে। বললাম, “কী হয়েছে পিড়িং?” পিড়িং হল অঙ্গনার ডাক নাম। এটা এখানকার একটা সুস্বাদু শাকের নাম। অঙ্গনা ছোটোবেলায় খেতে ভালোবাসত বলে ওর নামই হয়ে গেছে পিড়িং।

অঙ্গনা কাঁদছিল। বলল, “আমি জানি দীপু। তোর আমার কখনও বিয়ে হবে না। বাবা শ্রীধরপুরে আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। আশীর্বাদও হয়ে গেছে। আমার আর পড়া হবে না রে। আমরা যে খুব গরীব!”

অঙ্গনা একটা গভীর শ্বাস ফেলল। আমি বসে বসে অঙ্গনাকে দেখছিলাম। কেন যেন একটা সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ মনে এল আমার। হঠাৎ মনে হল ওকে বলি, “আমি তোর আনা সেই জলজমানী গাছটার সম্পর্কে স্যারদের কাছ থেকে এখন জেনেছি। গাছটার বিজ্ঞান সম্মত নাম হল কাকুলাস হারসুটাস! তুই তো জানিস না, জেনে রাখ।” কিন্তু বলা হল না। অঙ্গনা বলল, “তোকে শুধু একটাই কথা বলব, এটা বলার জোর আমার আছে। তুই মিছিমিছি এই মন্দিরের খানিকটা সিঁদুর এনে আমার সিঁথিতে দিবি? এটা সত্যি নয়, খেলাই মনে করিস না হয়! ছোটোবেলায় তো এমন কত খেলা আমরা করেছি।”

“পিড়িং! কী হবে এসব করে?”

“কিছু হবে না। শুনলাম তুই কাল চলে যাবি। আমার তার পরের সপ্তাহেই বিয়ে।”

“সিঁদুর পরে বাড়ি ফিরবি কী করে?”

“একটুখানি দে। আমি চুল দিয়ে ঢেকে নেব।”

সেই বিষণ্ণ ভাঁটার টানে পিছিয়ে চলা নদীকে সাক্ষী করে মকরবাহিনীর মন্দির থেকে আমি এক চিমটি সিঁদুর এনে পরিয়ে দিলাম অঙ্গনার সিঁথিতে। নির্জন নদী তীরে সেই মুহূর্তের সাক্ষী রইল হিজল, গরানের বন আর শামুকখোল, কাদাখোঁচা পাখির দল।

তারপর অনেক বছর কেটে গেছে। ডাক্তারী পড়ার পর আমেরিকায় গবেষণার কাজে গিয়েছি, তারপর সেখানেই বিজ্ঞান সাধনায় নিয়োজিত করেছি নিজেকে। জীবনে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে আমি বহু পথ পাড়ি দিয়েছি। অঙ্গনা শ্রীধরপুরে কার একটা ঘরণী হয়ে বেঁচে আছে। দেশে ফেরার কথা ভাবতেই কিন্তু সেই কিশোর দীপ্তমানের কথা ভেসে এল আমার মানসপটে। গলার কাছে একটা যন্ত্রণা বিঁধল কাঁটার মত। প্রবল ইচ্ছা জাগল চল্লিশ বছর পরেও একবার অন্তত পিড়িংকে দেখার।

গুরুদাসপুরে ফিরে এসেছি। আমার পৈতৃক ভিটেতে এখন কাকার পরিবার বসবাস করে। আমাকে দেখে কাকা খুব খুশি হল। বাড়িটা এক অর্থে আমার। ওরা বলতে গেলে এখন আমার আশ্রিত। কাকা খুশি হয়েই আমার খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব নিল। পরিবর্তে আমি কিছু টাকা ধরিয়ে দিলাম ওদের। ওরা যেন ধন্য হয়ে গেল। আমার এখন কোনো কাজ নেই। সকাল হলেই নদীর ধার থেকে অনেকটা হেঁটে আসি। গোবোদিয়া নদীটা আগেকার থেকে চেহারায় অনেকটা শীর্ণ হয়েছে। তবে পথঘাট গাছপালা মানুষজন খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি আজও। সেই স্কুলটাকে দেখি। বিল্ডিংগুলোতে রং পড়েছে। ছাত্রাবাসটাও অনেক বড় হয়েছে। তবে অঙ্গনার খোঁজ পেলাম না। নদীর ধারের মকরবাহিনীর পুরনো মন্দিরটা আমফানের ঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন একটা সিমেন্টের পাকা ঘর তৈরি হয়েছে। সেই চাতালে বসে থাকি। মনে মনে তখন অঙ্গনার সংসারী চেহারাটা ভাবি।

এক পড়ন্ত বিকেলে পোড়ো মন্দিরটার পাশ থেকে অঙ্গনাকে হঠাৎ হেঁটে যেতে দেখলাম। ওর চেহারা তো বুড়িয়ে যায়নি! সেই কিশোরীবেলার অঙ্গনা। ভাবলাম নিশ্চয়ই এ অঙ্গনার মেয়ে হবে। অবিকল মায়ের জেরক্স কপি হয়েছে মেয়েটা। তাড়াতাড়ি ছুটে এলাম,

“এই মেয়ে শোনো!” আমার ডাক শুনে মেয়েটা রহস্যময়ভাবে হাসল।

“দীপু! তুই আমার নামও ভুলে গেছিস?”

“তুই অঙ্গনা? মানে পিড়িং?”

“যাক বাবা! চিনেছিস তাহলে।”

“চিনব না?”

“কোথায় থাকিস তুই?” অঙ্গনার কপালে, সিঁথিতে, হাতে কোথাও সধবার চিহ্ন নেই।

“আমার বাড়িতে।”

হতভম্বের মত বললাম, “তোর বাড়িতে? সেটা কোথায়?”

“ওপারে। যাবি?”

বললাম, “অবশ্যই।”

কোথা থেকে একটা নৌকা এসেছে। নদীটা হঠাৎ যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শীর্ণ নদীটা আগেকার মত চওড়া হয়ে উঠেছে। আমরা নৌকায় উঠতেই ছপছপ করে নৌকা চলতে লাগল। দূরে শামুকখোলের দল দিনের শেষে বাড়ি ফিরছে। আমার পরনে এখন কোনো বিদেশী কোম্পানির দামী শার্ট নয়, একটা সস্তা রংচঙে শার্ট। চেহারাটাও ভারী হালকা হয়েছে। কপালে আগেকার মত চুলের ঢেউ। আমি কি সময়ের পিছন দিকে যাচ্ছি? অঙ্গনা নৌকা পাড়ে আনল। আমরা পূর্ণচন্দ্রপুরে নেমেছি। মনে হল এক নতুন দেশে এসেছি আমরা। চারিদিক এক আশ্চর্য পাতলা কুয়াশায় ঢাকা।

“ডাকলাম পিড়িং! এত তাড়াতাড়ি এগোস না। আমি পিছিয়ে পড়ছি যে।”

অঙ্গনা কুয়াশার চাদর সরিয়ে দৃশ্যমান হল, “এই তো আমি। আয়। সাবধানে আয়। কাছেই আমাদের বাড়ি। তোর জন্য একটা উপহার আছে!”

অঙ্গনার আশ্বাস পেয়ে আমি আরও জোরে জোরে হাঁটতে থাকি। ধীরে ধীরে আমার বয়স বাড়তে থাকে। কৈশোর থেকে যৌবন, ধীরে ধীরে আমি প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে যাই। অঙ্গনার বয়স থমকে আছে। আমরা একটা দালানের নীচে সিঁড়ির ধাপের কাছে এসেছি। অঙ্গনা আমাকে বসিয়ে দেয় সেইখানে সিঁড়িতে। আমার ভয়ানক তেষ্টা পেয়েছে। আমি হাঁপাতে থাকি। অঙ্গনা একটা গ্লাসে জল এনেছে। না না জল নয়। জল জমে আছে। থকথকে দইয়ের মত সেই জল। হ্যাঁ, মনে পড়েছে জল জমানীর শরবত। কাকুলাস হারসুটাস। আমি প্রাণ ভরে খাই সেই হারিয়ে যাওয়া সবজে গন্ধ জল। আহা আমার হারিয়ে যাওয়া সময়!

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *