short-story-kono-goenda-golpo-noy

কোনও গোয়েন্দা গল্প নয়
জয়ন্ত দে


নিরাপদ রায়, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। নিরাপদ না হয়ে মানুষটার নাম নিরীহ রায় হলেই বেশি মানাত। অনুক্তা ওর কাছে বেশ কয়েকবার গিয়েছিল— মোমের পেটের ব্যথার ওষুধ নিতে। অনুক্তা ওর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মানুষটা চিকিৎসাটা ভালো করে। লোকাল লোকের বল ভরসার জায়গা। কেউ কেউ বলে ধন্বন্তরী! মোমের পেটের ব্যথাটা সারিয়ে দিল তো—। এই পেট পেট করে মেয়েটা বেশ ভুগছিল। যদিও আমার হোমিওপ্যাথিতে ঠিক আস্থা নেই। তবু অনুক্তায় প্রশংসায় সুর মেলাতে হয়। আমি এই সংসারে প্রায় বহিরাগত। কখনও থাকি, কখনও থাকি না। চাকরি বড় বালাই, দৌড়ে বেড়াতে হয়। আমি লালবাজার ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে আছি। নিত্য কোথাও না কোথাও দৌড়াতে হয়। অপরাধ আর অপরাধীর সুলুক সন্ধানই আমার দিনরাত চলে যায়।

কিন্তু পাড়ার সবাই জানে আমি পুলিসের মস্ত অফিসার। আমি তাদের বোঝাতে পারি না, লাঠি বন্দুক চালানো পুলিস আমি নই। পুলিস বলতে মানুষের যে সমীহ তা থানাকেন্দ্রিক। আমার সেখানে কোনও ক্ষমতা নেই। তবে হ্যাঁ, দরকারে অদরকারে লোকাল থানায় বলে দিই। ওরা কথা শোনে। যেহেতু আমি লালবাজারে আছি, এই পর্যন্ত।

কিন্তু তা বলে নিরাপদ ডাক্তারের কাজের মেয়ে হদিশ এনে দিতে আমি পারব না। লোকটা সেদিন সাতসকালে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির হলেন। অনুক্তা তো ওঁকে দেখে বেশ খাতির যত্ন করে বসিয়েছে। কী কথা শোনার আগেই চায়ের প্লেট ধরিয়ে দিয়ে আমাকে টেনে এনে সামনে বসিয়ে দিয়েছে। ওর ভাবটা এমন— আমি আপনার থেকে উপকার পেয়েছি, এবার আমার শোধ করার পালা।

নিরাপদ ডাক্তার কিছু বলতে এসেছেন, তার আগেই অনুক্তা তাকে আশ্বস্ত করেছে, কিচ্ছু চিন্তা করবেন না, উনি সব ঠিক করে দেবেন।

আরে আমি দেব কী? যেটুকু শুনলাম, তার মোদ্দা কথা, বাড়ির কাজের মেয়েটা পালিয়েছে, তাকে ধরে এনে দিতে হবে।

আমি বললাম, ‘কিছু কি খোয়া গেছে?’

নিরাপদ ডাক্তার চুপ করে থাকলেন।

বললাম, ‘কতদিন কাজ করত আপনাদের বাড়িতে?’

‘তা বছর দুয়েক।’

‘যে দিয়েছিল তাকে বলেছেন?’

‘শান্তিলাল। সে আমাদের এদিকে পুরনো খবরের কাগজ কিনত। আর আসে না। একবার শুনেছিলাম— মারা গেছে।’

‘মেয়েটার বাড়ির ঠিকানা জানেন? কোন থানা?’

‘না, জানি না।’ নিরাপদবাবু বিমর্ষ মুখে ঘাড় নাড়েন।

‘ওকে জিজ্ঞেস করেননি কোনওদিন?’

‘না।’

‘আশ্চর্য!’

নিরাপদ ডাক্তার মাথা নিচু করে বললেন, ‘আপনারা ইচ্ছে করলে সব পারেন, যদি একটু দেখেন স্যর।’

আমি বললাম, ‘ওর ছবি আছে? কাল ছবি নিয়ে আসবেন।’

নিরাপদ ডাক্তার ফ্যালফ্যাল করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন, মুখে কোনও কথা নেই। যেন বোবায় ধরেছে। বললাম, ‘কী হল? ওর ছবি নেই?’

‘ওর ছবি কে তুলবে?’

আমি অনুক্তার দিকে তাকালাম। আর অনুক্তা ওঁর দিকে তাকাল। বলল, ‘কিচ্ছু চিন্তা করবেন না। এবার বলুন, কী কী নিয়ে গেছে? জিনিসগুলো তো উদ্ধার করতে হবে।’

নিরাপদ ডাক্তার চুপ করে আছেন। আমি ওঁর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। অনুক্তা বলল, ‘আপনার কোনও চিন্তা নেই সময় থাকতে থাকতে বলুন। সোনার জিনিস গলিয়ে বিক্রি করে দিলে খুব মুশকিল, তাই না গো?’

অনুক্তার কথায় নিরাপদবাবু জিব কাটলেন, এদিক ওদিকে মাথা নাড়ালেন। ‘না, না, ওসব কিছু না।’

‘তবে?’ আমি একটু জোরেই বললাম।

‘আসলে তেমন কোনও দামি জিনিস নয়, আবার—। আপনি ওকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন।’

‘কী নিয়ে গেছে? আমাকে তো থানায় বলতে হবে জিনিসটা উদ্ধার করতে। বলুন, আমি কী বলব?’

নিরাপদবাবু আমার মুখের দিকে কেমন বিহ্বল হয়ে থাকিয়ে থাকলেন, তারপর, টুক করে একটা শব্দ বললেন— শান্তি!

‘শান্তি মানে? ঠাকুর নিয়ে চলে গেছে নাকি? কী সর্বনাশ! সোনার, না অষ্টধাতুর?’ অনুক্তা উতলা হয়ে উঠল।

নিরাপদবাবু বেশ জোরে মাথা নাড়ালেন, ‘না, না, ঠাকুর দেবতা কিছু নয়। কোনও পার্থিব জিনিস নয়, তবে অনেকটা। কতটা সেটা আমি বোঝাতে পারব না। অনেকটা।’

আমার মনে হল লোকটা ঝেড়ে কাশছেন না। থানায় গিয়ে এসব বললে, দুই দাবড়ানিতে সব গলগল করে বেরিয়ে আসত। এইজন্যে বাড়িতে এসেছেন। বললাম, ‘কী শান্তি? কেমন? আমাকে বলুন, আমি থানায় যাতে লেখাতে পারি।’

হঠাৎ নিরাপদ ডাক্তার উঠে দাঁড়ালেন। ‘না, ঠিক আছে, আজ আমি চলি।’

কথাটা বলে উনি আর সুযোগ দিলেন না বেরিয়ে গেলেন। অনুক্তা বলল, ‘আশ্চর্য!’

আমি খবরের কাগজ নিয়ে ঘরের ভেতর চলে গেলাম। নইলে অনুক্তা অনেকক্ষণ ধরে বিষয়টা নিয়ে বকবক করবে। পোস্টমর্টেম করবে। আমি এই উঠে আসা থেকে ও বুঝে গেল—বিষয়টার মধ্যে আর আমি নেই। চ্যাপ্টার এন্ড।

কিন্তু চ্যাপ্টার এন্ড হল না।


দুই


নিরাপদবাবু আবার এলেন। এবার উনি একা আসেননি। এসেছেন সস্ত্রীক। ওঁরা দুজনেই অনুক্তার কাছে এসে দরবার করেছেন। রাতে আমি ফিরতে অনুক্তা ওদের কথা তুলল। আমি বললাম— ছবি দিতে বলো। নাহলে গ্রামের নাম বলতে বলো। নিদেনপক্ষে জেলার নাম বলো। কিছু তো একটা চাই, কোন বেসিসে আমি খুঁজব? একটা কোনও ক্লু দাও।

অনুক্তা মুখ ভার করে থাকল। ওর মনে হল, আমি ঠিক গা করছি না।

আমি চুপচাপ শুনলাম।

তারও বেশ কিছুদিন পরে সেই একই কথা শুনলাম। শুনলাম, ওঁর স্ত্রী এসে কাকুতি মিনতি করে গেছেন। নিরাপদ ডাক্তার নাকি পশ্চিমবঙ্গের সব জেলার একটা ম্যাপ নিয়ে সারাদিন বসে আছেন। কী সব নোট টোট করছেন। হয়তো জেলা পরিক্রমায় বের হবেন। জেলার পত্রপত্রিকার লিস্ট করে বিজ্ঞাপনও দিতে শুরু করবেন।

আমি বললাম, ‘বিজ্ঞাপনে কী লিখবেন ঠিক করেছেন? আমাকে বিজ্ঞাপনের ম্যাটারটা একবার দেখিও তো।’

পরের দিনই বিজ্ঞাপনের ম্যাটার এল। বুঝলাম, অনুক্তাও ওদের সঙ্গে বেশ জড়িয়ে পড়েছে। দু’জন নয় এখন তিনজন। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। বিজ্ঞাপনে দেখলাম মেয়েটার চেহারার বর্ণনা আছে। আর তখনই জানলাম, মেয়েটি একজন স্মৃতিশক্তি হারানো। সে নাম ধাম কিচ্ছু বলতে পারে না। সব ভুলে গেছে। অতীত সম্পূর্ণই মুছে গেছে। নিরাপদ ডাক্তার ওর নাম রেখেছিলেন শান্তি। বিজ্ঞাপনটার বয়ান দেখে হাসলাম। শান্তি নিয়ে গেছে শান্তি!

আরও বেশ কটা দিন কেটে গেছে। একদিন আমার কী মনে হল, নিজেই অনুক্তাকে বললাম, তোমার নিরাপদ ডাক্তার মেয়েটির সন্ধান পেলেন?

অনুক্তা স্পষ্ট গলায় জানাল, ‘না, উনি চেম্বার খুলছেন না। মেয়েটাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।’

‘কীভাবে খুঁজছেন?’

অনুক্তা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর বলল, ‘ডাক্তারবাবু সব জেলার মানুষের মুখের কথা সংগ্রহ করেছেন। সেখান থেকে স্বামী স্ত্রী মিলে খুঁজছেন, মেয়েটা ঠিক কেমনভাবে কথা বলত।’

আমি বললাম, ‘ডায়লেক্ট। বাহ্‌!’ আমি বিস্মিত হলাম। তবু বললাম, ‘কিন্তু ওরা যে লিখেছে— মেয়েটি স্মৃতিশক্তি হারানো মানুষ। তার কোনও কিছু মনে নেই।’

‘মনে নেই-ই তো। গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মেয়েটা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু মুখে তো কথা ছিল। কথা বলতে পারত।’

আমি চুপ করে শুনলাম।

ক’দিন পরে আবার জিজ্ঞাসা করলাম— তোমার ডাক্তারবাবুর খবর কী? মেয়েটার কোনও হদিশ মিলল?

অনুক্তা চুপ করে থাকল।

বললাম— কী হল? মেলেনি তো? দৌড়াদৌড়ি সার হয়েছে?

‘না, আমি আর কোনও খবর রাখছি না।’ অনুক্তা বেশ ক্ষুব্ধ গলায় জবাব দিল।

‘কেন?’

‘সেদিন এমন একটা কথা বললেন ডাক্তারবাবুর স্ত্রী, কথাটা আমার খুব গায়ে লাগল?’

‘কী বললেন?’

অনুক্তা চুপ করে থাকল। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী বললেন?’

‘বললেন, এই লালবাজারকে এক সময় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হতো, এখন সব ফাঁকিবাজ আর অপদার্থ লোকজনে ভরে গেছে।’ কথাটা বলে অনুক্তা থামল। বলল, ‘আমিও শুনিয়ে দিয়েছি, এখনকার মানুষও বড় বেআক্কেলে। বাড়িতে একটা রোগী মানুষকে পুষছে, তার নাম ধাম, এমনকী একটা ছবি পর্যন্ত রাখবে না! তাহলে সে হারিয়ে গেলে পুলিস কী দেখে খোঁজ করবে? পুলিস কি গণক ঠাকুর?’

আমি অনুক্তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ওর মুখ টকটকে লাল। পতির অপমান ঠিক হজম হয়নি।

রাতে পড়ার টেবিলে এসে বসলাম। এখনও ডায়েরির ভাঁজে সেই বিজ্ঞাপনের বয়ান লেখা কাগজটা। বেশ কয়েকবার কাগজটা পড়লাম। না, এখানে এমন কোনও সূত্র নেই, যা মেয়েটার হদিশ দিতে পারে।

কাগজটা আবার ডায়েরির রেখে উঠতে উঠতে ভাবলাম, ওদের সঙ্গে আমাদের বাড়িরও শান্তি কিছুদিনের জন্য গেল।

কথাটা ভেবেই আমি চেয়ারের সঙ্গে নিজেকে স্থির করলাম। মেয়েটার জন্য আমাদের বাড়ির শান্তি গেছে— ডাক্তারবাবুর বাড়ির শান্তি গেছে। মেয়েটার নাম শান্তি। আমার ভাবনার চৌখুপীর তিনটি পায়া হয়েছে—শান্তি শান্তি শান্তি। আরও একটা শান্তি আছে। সেই পুরনো কাগজ ক্রেতা শান্তিলাল।


তিন


পরের দিন লোকাল থানায় গেলাম। ওদের বললাম, আমাকে একটা সাহায্য করতে হবে। পুরনো খবরের কাগজ ক্রেতা, রদ্দিওয়ালা শান্তিলালকে খুঁজে বের করতে হবে। সেই এই এলাকাতেই পুরনো কাগজ কেনে। কথাটা বলে, আমি লালবাজার চলে গেলাম।

পরেরদিন লোকাল থানা ফোন করল। বলল, শান্তিলাল বলে কেউ নেই। তবে হ্যাঁ, একজন ছিল, সে সাত মাস আগে মারা গেছে।

আমি নিরাপদ ডাক্তারের কাছেই শুনেছি শান্তিলাল মারা গেছে। এটা আমার কাছে নতুন খবর নয়। আমি শুধু নিশ্চিত হলাম। লোকাল থানাকে বললাম, মৃত শান্তিলালের বাড়ির ঠিকানা আমার চাই। যেভাবেই হোক জোগাড় করে দিতে হবে। তাডাতাড়ি।

দুদিন পরেই লোকাল থানা আমাকে মৃত শান্তিলালের বাড়ির ঠিকানা দিল। লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের মথুরাপুর। গ্রাম দেউলে।

পরের দিন ভোর ভোর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। নটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম শান্তিলালের বাড়িতে। দু’একটা কথার পরই মেয়েটার কথা পড়লাম। গাছ থেকে পড়ে গিয়ে স্মৃতিশক্তি হারানো মেয়ে—। আমার কথা ফুরনোর আগেই শান্তিলালের স্ত্রী জানালেন, সেই মেয়ের তো সব মনে পড়েছে— সে তো ফিরে এসেছে। আমি বললাম—চলুন আমার সঙ্গে। আমি তার বাড়ি যাব।

আমার গাড়িতে শান্তিলালের স্ত্রী আর বড়ছেলে উঠল। গেলাম পাশের গ্রামে। দেখা হল মেয়েটার সঙ্গে। সে আর শান্তি নয়, তার নাম সন্ধ্যা মণ্ডল।

তাকে বললাম, ডাক্তারবাবু, তাঁর স্ত্রী তোমাকে খুঁজছেন, তাঁদের না জানিয়ে চলে এলে কেন?

মেয়েটা কেঁদে ফেলল।

আমি মোবাইলে তার দুটো ছবি তুললাম। সে একা, এবং তার মা বাবার সঙ্গেও একটা।

বাড়ি ফিরে অনুক্তাকে বললাম, চলো নিরাপদ ডাক্তারের বাড়ি যাব।

আমরা দুজনে গেলাম।

ওঁদের বসার ঘরে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম—মেয়েটির কোনও সন্ধান পেলেন?

না, এখনও তাঁরা কোনও সন্ধান পাননি।

আমি এবার তাঁদের সব বললাম— শান্তির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ফিরে এসেছে। সে বাবা মায়ের কাছে ফিরে গেছে। তার নাম সন্ধ্যা। সন্ধ্যা মণ্ডল। এই যে তার ছবি। আমার কথা শুনে নিরাপদ ডাক্তার জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকলেন।

বললাম, এবার বলুন— আপনি কি যেতে চান তার কাছে? আমি ঠিকানা দিচ্ছি। যান, দেখা করে আসুন।

আমার কথা শুনে নিরাপদ ডাক্তার অদ্ভুত হাসলেন। বললেন, ‘না, গিয়ে আর কী করব!’

অনুক্তা বলল, ‘এ কী এত পাগল হয়ে খুঁজছিলেন, এখন যাবেন না?’

নিরাপদ ডাক্তার শান্ত গলায় বললেন, ‘যদি স্মৃতিশক্তি হারানো অবস্থায় ঘুরে বেড়াত, তাহলে আমি নিশ্চয়ই তার কাছে যেতাম। তাকে নিয়ে আসতাম। ওর তো স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে। ভালো আছে, আমাকে ওর আর কোনও দরকার নেই।’

আমি উঠে পড়লাম, স্বামী গর্বে ও লালবাজার গর্বে আমার স্ত্রীর মুখ চকচক করছে। ডাক্তারবাবু আমার দিকে দুহাত নমস্কার জানালেন, বললেন, ‘ধন্যবাদ!’

আমিও ডাক্তারবাবুর দিকে দু’হাত তুলে বললাম, ‘আপনাকেও ধন্যবাদ।’

নিরাপদ ডাক্তার শান্ত গলায় বললেন, ‘আমাকে কেন ধন্যবাদ দিচ্ছেন?’

‘আপনার ওষুধেই মেয়েটা ভালো হয়েছে। আপনার চিকিৎসা সফল! আপনি নিশ্চয়ই এটা জানার জন্যই ওকে এমন করে খুঁজছিলেন।’

নিরাপদ ডাক্তার মাথা নিচু করে স্মিত হাসলেন।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

6 thoughts on “short-story-kono-goenda-golpo-noy

  1. ওঃ জয়ন্ত বাবু! আহা জয়ন্ত বাবু!
    পুরীর সমুদ্রে বহুবার যাওয়ার পরও আবার গেলে যেমন নতুন লাগে, তেমনই আপনাকে বহু পাঠের পরও মনে হয় এ এক নতুন লেখককে পাঠ করলাম। এই যে বহুতলবিশিষ্ট এক রত্নের মত বিবিধ প্রতিফলনকে আপনি যে বিন্দুতে এসে পুঞ্জীভূত করেন, তার নাম অনিন্দ্য পাঠ অনুভূতি! গল্পটি এক সম্ভাবনাকে নিয়ে পাঠকের মনে ঘনিয়ে উঠল, অথচ দেখা গেল বর্ষিত হল সম্পূর্ণ অচেনা মেঘে…আর যে বারিধারায় ভিজে যেতে যেতে আমুল প্রোথিত হতে হল এক অব্যক্ত ভাললাগায়। এই যে গল্পের আপাতরেখা থেকে ছিটকে ফেলে দেওয়া অন্য এক অচিন কক্ষপথে…নাঃ এর কোন নাম দেওয়া আপনার পাঠকের সাধ্য নয়!

  2. গল্পটা লেখকের মুখে শুনেছিলাম একটা অনুষ্ঠানে এবং মুগ্ধ হয়েছিলাম। আবার পড়লাম, ভালো লাগলো।

    1. জয়ন্ত বাবুর অন্যান্য গল্পের মতোই এটি একটি অসাধারণ গল্প। শেষের মোচড়টিও অপূর্ব!

  3. দারুণ, দাদা। শেষটা খুব সুন্দর।

  4. জয়ন্ত দের সব গল্প ই আমার খুব ভালো লাগে। আপনি এভাবে আমাদের গল্প উপহার দিয়ে আমাদের মনোরঞ্জন করছেন, সাথে সাথে নতুন গল্প লেখকদের গল্প লেখার প্রেরণা হয়ে উঠছেন।

  5. জয়ন্ত বাবুর অন্যান্য গল্পের মতোই এটি একটি অসাধারণ গল্প। শেষের মোচড়টিও অপূর্ব!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *