অপরাহ্নের আলো

অপরাহ্নের আলো
সুস্মিতা নাথ
কৃষ্ণচূড়া গাছটার ডাল-পাতার ফাঁক দিয়ে ভোরের নরম আলো তেরছা ভাবে বারান্দায় এসে পড়েছিল। সেই আলোরই ওম নিতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে শুভময়। হাতে দুধ-চিনি বর্জিত এক কাপ গরম চা। চায়ের নেশা শুভময়ের। কিছুক্ষণ পরপরই একটু গলা না ভেজালে হয় না। সেজন্যে নিজের ইচ্ছেমতো লাল চা বানিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নিজের ঘরেই রেখেছে সে। ঘুম থেকে ওঠার পরে এটি তৃতীয় দফার চা। কাপটি হাতে নিয়েই ধীর পায়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াল। তখনই উলটোদিকের বারান্দায় চোখ গেল তাঁর। সুলতা না! উদাস দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধাকে দেখেই চমকে উঠল শুভময়। মুহূর্তের জন্যে হতবিহ্বল সে। নির্বাক, অপলক তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। নিশ্চিত হতে চাইল, সুলতাই তো? তাই তো মনে হচ্ছে। চোখ সরাতে পারছে না শুভময়। মাঝে কম দিন তো বিগত হয়নি, কত শীতরাত পেরিয়ে বসন্ত এসেছে, আবার চলেও গেছে, গঙ্গা যমুনা ব্রহ্মপুত্র দিয়ে বয়ে গেছে সহস্রকোটি গ্যালন জল। বিস্তর বদল এসেছে পৃথিবীতেও। এত সব পেরিয়ে সুলতা তা হলে একই রকম আছে ! বিস্ময়, আনন্দ ও কৌতূহলের সন্মিলিত প্রভাবে মনের ভেতরে যেন উষ্ণ প্রশ্রবন বইয়ে দিয়েছে। বুকের ভেতরে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়।
বৃদ্ধার মুখ বাগানের দিকে ফেরানো। ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। তবু শুভময় একপ্রকার নিশ্চিত যে, এ সুলতাই। সেই তীক্ষ্ণ নাসিকা, সেই দাঁড়ানোর ভঙ্গি, সুলতা ছাড়া আর কারও হতেই পারে না। কিন্তু সুলতা এখানে কী করে? যেন নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে সে।
“গতকাল বিকেলেই এসেছে। বিদেশবাসী ছেলে রেখে গেছে।” শুভময়কে ওদিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে কানের পাশ থেকে বলে উঠল কেউ। শুভময় ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে রায়বাবু। রায়বাবু তাঁর ঠিক পাশের ঘরটাতেই থাকে। সস্ত্রীক। এমনিতে রায়বাবুর সঙ্গে মোটামুটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুভময়ের। অন্তত কোনও মন কষাকষি বা বিবাদ নেই। তবে এই মুহূর্তে লোকটার উপস্থিতি খানিকটা বিরক্তির উদ্রেক করল মনে। কিন্তু এড়িয়ে যাবারও উপায় নেই। অগত্যা মুখে একটা নির্লিপ্ত হাসি ফুটিয়ে শুভময় বলল, “ও, তাই নাকি?”
“সে না হলে আর বলছি কী?” রায়বাবু কথা জারি রাখে, “ছেলে লেখাপড়া শিখে লায়েক হয়েছে। সাহেবদের দেশে থাকে। বাপ-মাকে দেখার না আছে সময়, না আছে ইচ্ছে। কাজেই ফেলে গেল বৃদ্ধাশ্রমে।”
“ওহো। মহিলা আপনার পরিচিত বুঝি? মানে এতটা জানেন দেখে বলছি।”
“আরে না না, পরিচিত নয়। কাল যখন ওঁর ছেলে রাখতে এসেছিল তখন দেখেছি শুধু। বাকিটা অনুমান। আসলে এমনই তো হচ্ছে।”
“তাই বলুন।” সংক্ষিপ্ত কথায় ভদ্রলোককে এড়িয়ে যেতে চাইছে শুভময়। কিন্তু সেও যেন নাছোড়। বলে চলেছে, “…বুঝলেন শুভময়দা, আমরাই এক প্রকার ভাল আছি। ছেলেপুলে নেই, কাজেই কারও থেকে আশা আকাঙ্খাও নেই। আর আপনার তো আরও ভালো, বিয়েই করেননি, তো ছেলেমেয়ে! হে-হে-হে।”

নিজের রসিকতায় নিজেই হেসে চলল রায়বাবু। ভদ্রলোকের এই এক অদ্ভুত মানসিকতা। সুযোগ পেলেই যেনতেন প্রকারেণ প্রমাণ করার চেষ্টা করে, সন্তান না থাকায় তারা কতটা ভালো আছে। পৃথিবীর যত কুলাঙ্গার ছেলেমেয়েদের খবর নিয়ে বসে আছে লোকটা। হয়ত এও এক ধরনের হতাশাজনিত হীনমন্যতা। পাত্তা দিল না শুভময়। তাঁর চোখ ও মন দুটোই এখন নিবদ্ধ হয়ে আছে সামনের একফালি বারান্দায়। যেখানে সুলতা নরম রোদ গায়ে মেখে আনমনা দাঁড়িয়ে আছে। এই বয়েসেও সুলতার সৌন্দর্য্য অটুট। চোখে চশমা, স্থুলকায় শরীর আর ঘন কালো কেশরাশিতে রূপোলি রেখার বাড়বাড়ন্ত ছাড়া, তেমন বিশেষ পরিবর্তন নজরে এলো না।
সুলতা যেখানে দাঁড়িয়ে সেই দিকের ঘরগুলো এই বৃদ্ধাশ্রমের সবচাইতে বিলাসবহুল ঘর। এখানে বলে ডিলাক্স ঘর। খরচও সবচাইতে বেশি। মাত্র ডজনখানেক এমন ঘর আছে এখানে। প্রায় প্রত্যেকটি অভিজাত ও সম্পন্ন প্রৌঢ় বা বৃদ্ধ দম্পতিদের দখলে। মাত্র একটা বা দুটোয় একাকী কেউ রয়েছে। দশ নম্বর ঘরের বেনুবাবু যেমন ছিলেন। বেনুবাবু এককালে ছিলেন ইলাক্ট্রিসিটি বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। বিপত্নিক, নিঃসন্তান। ফলে রিটায়ার করার পরে ঘরবাড়ি না কিনে, সোজা চলে এসেছিলেন এখানে। তিনি বহুদিন এই বৃদ্ধাশ্রমে ছিলেন। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, হাস্যোজ্জ্বল মানুষটা আকস্মিক একদিন ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে প্রায় বছর দেড়েক ধরে ফাঁকাই পড়ে ছিল তাঁর ঘরটি। সুলতা সম্ভবত তাঁর ঘরটিতেই এসেছে।
শুভময়য়ের খুব ইচ্ছে করছিল ছুটে যায় সুলতার কাছে। কিন্তু কে জানে কেন, যেতে পারে না। পা দুটো কে যেন আটকে ধরে থাকে তাঁর। এমনিতে ঐ উলটোদিকের বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা প্রায় সকলেই একটু নাক উঁচু উন্নাস্যিক ধরনের। সবার সঙ্গে খুলে মেলামেশা করে না। এক সময়ে সমাজের উপরতলায় থেকেছেন প্রত্যেকেই। বড় চাকরি করেছেন, কিংবা অভিজাত ও প্রভাবশালী পরিবারের লোক। ফলে এখনও সেই বোধটা ভীষণভাবে কাজ করে। অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। বেনুবাবুই তো একেবারে অন্যরকম ছিলেন। হইহই রইরই করে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন সবসময়। সবার অসুখে বিসুখে অসুবিধায় সবার আগে ছুটে যেতেন। বেনুবাবুকে সত্যি খুব মিস করে শুভময়।
রায়বাবুকে পাশ কাটিয়ে ধীর পায়ে নিজের ঘরে ফিরে এলো শুভময়। সুলতা তখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে। শেষ শীতের রোদে ভেসে যাচ্ছে ও বারান্দা। রৌদ্রস্নাত হয়ে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, পাপিয়া আদি বাগানের ফুলগুলো যেন খেলে উঠেছে। হয়ত রোদের ওম নিতে নিতে ফুলেদের সৌন্দর্য উপভোগ করছে সুলতা।

ঘরে ঢোকার পরেও মনের ভেতরে এক অস্থিরতা ছেয়ে আছে। সুলতাই জাঁকিয়ে রয়েছে তাঁর মন-প্রাণ-হৃদয়। দুরন্ত ঝড়ের মতো একরাশ স্মৃতি আছড়ে পড়েছে শুভময়ের মনে। কতশত সোনালি দিন, মন আলো করা মুহূর্তরা একসঙ্গে ভিড় জমাচ্ছে। সময়ের বাঁধন ছিঁড়ে সহসা মূর্ত হয়ে উঠেছে অতীত। শুভময় চেয়ারে গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে দেয়। বন্ধ চোখের ভেতরে চলে অতীতের আনাগোনা। সব মনে পড়ে যাচ্ছে শুভময়ের। সব। এক-একটি দৃশ্যপট নিখুঁত ভাবে ধরা দিচ্ছে মনের আয়নায়। বিশেষ করে নাড়িয়ে দিচ্ছে সুলতাকে শেষ দেখার স্মৃতিটি। শেষের সেদিন যে কী ভয়ঙ্কর ছিল, আজও ভুলতে পারে না সে। সেই শক কাটিয়ে উঠতে বহুদিন লেগেছিল শুভময়ের। সেদিনের কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠে সে। এখনও ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে বুকের গভীরে। শুভময়কে ডেকে পাঠিয়েছিল সুলতাই। নয়ানজুলির পাশে যে ছাতিম গাছটা আছে, ওটারই ছায়ায় দেখা করেছিল দুজন। সময়টা ছিল গ্রীষ্মের এক দুপুর। তীব্র দাবদাহে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছিল প্রকৃতি। পুড়ে ছাই হয়েছিল সেও। খুব সংক্ষেপে অথচ দ্বিধাহীন ভাবে সুলতা বলেছিল ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। বলেছিল, “তুমি বোঝার চেষ্টা করো শুভ, বাবা-মায়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমি কী করতে পারি? তাছাড়া তোমারও চাকরিবাকরি হয়নি।”

বুঝেছিল শুভময়। একটুও বিরোধ না করে মেনে নিয়েছিল কঠিন সত্যিটাকে। নীরবে সুলতার সব কথা শুনে গিয়েছিল। সুলতা বলেছিল পাত্র ডাক্তার, উচ্চ বংশ, একমাত্র সন্তান, বিশাল বড় বাড়ি ও বাপের অঢেল টাকাপয়সা। অর্থাৎ সুপাত্র হতে হলে যা যা চাই, সবই ছিল পাত্রের। আর এই সমস্ত মানদণ্ডের প্রত্যেকটির বিপরীতে ছিল তাঁর অবস্থান। তখনও সে কাঠ বেকার, একের পর এক চাকরির দরখাস্ত করে চলেছে। কিন্তু হচ্ছিল না কিছুই। কবে হবে তারও নিশ্চয়তা ছিল না। এদিকে বাড়িতে অভাব, অসুস্থ বাবা, আরও তিন বোনকে নিয়ে মোট ছ’জনের নিয়মিত অন্ন জোগান তখন এক ভয়ানক সংগ্রাম ছিল। বাবার সামান্য আয় এবং নিজের টিউশনির পয়সায় আর কতটা কুলোয়? এমত অবস্থায় কী করে বাধা দিত সুলতাকে? চোখের সামনে সোনালী ভবিষ্যতের হাতছানি দেখে দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম ভুলতে সময় লাগেনি সুলতার। হয়ত ঠিকই করেছিল সুলতা। আবেগে ভেসে গিয়ে তাঁর জন্যে বসে থাকলে, কীই বা দিতে পারত সে? সেই তো এক মাস্টারির চাকরি, সেই সঙ্গে বেজায় দায় দায়িত্ব। সেসব সামলে, তিন বোনের বিয়ে দিতে দিতে কখন যে নিজেরও বেলা ফুরিয়ে গেল, টেরই পাওয়া গেল না। নিজের আর বিয়ে করা হল না। হয়ত ইচ্ছেটাও মরে গিয়েছিল। সুলতার বঞ্চনা পুরোনো ক্ষতের মতো প্রায়ই তীব্র ব্যথায় ভরিয়ে দিত। সুলতার প্রতি বড় অভিমান তাঁর।

মা চলে গিয়েছিলেন আগেই। এক রাতে আচমকাই। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়েই চলে গেলেন মা। তখন সবে মেজ বোনের বিয়ের জন্যে দেখাশোনা হচ্ছে। হঠাতই থমকে গিয়েছিল সংসারটা। তবে কালের নিয়মে সেই শোকও কাটিয়ে উঠল সবাই। তবে বোনেদের বিয়ের পরেও বাবা অনেকদিন বেঁচে ছিলেন। ঐ অসুস্থ শরীর নিয়েই। তিনি বারবার তাগাদা দিতেন বিয়ের জন্যে। গা করত না শুভময়। বলত, এই বয়েসে আবার বিয়ে? এরপর বাবার মৃত্যুর পরে একেবারে একা হয়ে যাওয়া। ভূতের মতো বাড়ি আগলে পড়ে থাকা। নিজের ভাত নিজেই ফুটিয়ে খাওয়া। কথা বলার সঙ্গীও যখন কেউ নেই, তখন এক সহকর্মী এই বৃদ্ধাশ্রমের কথা বলল। এরপর আর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেনি শুভময়। পাততাড়ি গুটিয়ে চলে আসা এখানে। সেও তো প্রায় বছর দশেক হতে চলল।

কিন্তু সুলতা ! সে কেন এখানে? তাঁর তো নিজের সাংসার ছিল, স্বামী ছিল, সন্তান ছিল। আশ্রয়, বিত্ত, বৈভব, সব ছিল। এমন ভরা সংসার ছেড়ে তো কেউ বৃদ্ধাশ্রমে আসে না? প্রশ্নটা অনবরত ঘাই দিয়ে চলল শুভময়কে। সারাদিন সুলতাতেই আচ্ছন্ন হয়ে রইল শুভময়। কিন্তু একবারও সুলতার কাছে গেল না। যেতেও চায় না সে। কেন যাবে? আর কী থেকে গেছে দুজনের মাঝে? কেবল বিশ্বাসভঙ্গ আর বঞ্চনার গল্প ছাড়া কীই বা দিয়েছে এই সম্পর্ক? দুপুরে ডাইনিং হলে শুভময়ের চোখ খুঁজে বেড়াল সুলতাকে। লাঞ্চ টাইমে ডাইনিং-হল রমরম করে। মিটিং অ্যান্ড ইটিং দুটোই চলে। গল্পগুজব করে খেতে পছন্দ করে বেলা ফুরোন নিঃসঙ্গ আবাসিকের দল। তাঁদের ভিড়েই সুলতাকে খুঁজে বেড়াল সে। কিন্তু অনেকক্ষণ বসেও পেল না। অবশ্য অনেকেই ডাইনিং হলে আসে না। অনেকে শারীরিক কারণেও পারে না। নিজের নিজের ঘরেই খাবার আনিয়ে নেয়। বিশেষ করে ডিলাক্সের বাসিন্দারা ক্বচিৎ এখানে আসে। সুলতাও তো সেখানেই থাকছে। নিজেই নিজেকে বোঝায় শুভময়। কিন্তু চাইলেই কি ভুলে থাকতে পারছে সুলতাকে?

সন্ধের সময় মন্দিরে গেল শুভময়। রোজই যায়। এই বৃদ্ধাশ্রমের ভেতরেই মন্দির। শুভময় যে খুব ধার্মিক চরিত্রের তা নয়। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় এখানে আসতে বড় ভালো লাগে। মনটা বড় শান্ত ও পবিত্র মনে হয়। আবাসিকরা প্রায় সকলেই এ সময়ে এখানে আসে। মন্দিরের সন্ধ্যাপুজো, আরতি, ঘন্টাধ্বনি, ধূপধুনোর গন্ধ, সমবেত প্রার্থনা, সব মিলে অদ্ভুত এক পরিবেশের সৃষ্টি করে। নিঃসীম নির্মল পরিবেশ। এক অনাবিল শান্তিতে মন ভরে যায় শুভময়ের। সেই শান্তির টানেই এখানে আসে সে। আজও তেমনই এসেছিল। কিন্তু প্রার্থনা ও প্রসাদ বিতরণের পরেও একটা চেয়ারে বসে রইল শুভময়। কতক্ষণ এভাবে আনমনা বসে ছিল, কে জানে। মন্দির প্রাঙ্গন নীরব নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। সকলেই ফিরে গেছে নিজের নিজের আস্তানায়। রাত বাড়ছিল একটু একটু করে। বাড়ছিল শীতের প্রকোপ। তবু একটা ঘোরের মধ্যে একাকী এই নির্জনতায় বসে থাকে শুভময়। তাঁর যেন ফেরার তাড়াই নেই।

হঠাৎ এক মহিলা কণ্ঠস্বরে ঘোর কাটল শুভময়ের। “কেমন আছো?” বলল সে। চমকে উঠল শুভময়। মুখ তুলে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে সুলতা। হতবিমূঢ় সে। সুলতার চোখে চোখ আঁটকে গেছে। নির্নিমেষ দৃষ্টিতে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকে দুজনেই। সময় যেন থমকে গেছে। পলকের বিহ্বলতা। পরক্ষণেই সমস্ত মান-অভিমানের জমাটবাঁধা অন্ধকার সরিয়ে শুভময় তলিয়ে যেতে থাকে অতলান্ত আলোর গহ্বরে।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *