short-story-raaj-o-simran

এবং রাজ ও সিমরন
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়


প্রিয় সুরেখা,
এই প্রথম চিঠি লিখছি তোমায়। জানি হাতে পেয়ে অবাক হয়ে যাবে, ভাববে ঠিকানা পেলাম কি করে। মায়ের থেকে চাইলাম। ভাবলাম বিয়ের তো এখনও চার মাস দেরী আছে তাই এর মধ্যে একটু আলাপ করে নিই। কেমন আছ? সেদিন তোমার বাড়িতে তোমায় দেখতে গিয়ে এক নজরেই ভাল লেগে গেছিল। খুব সুন্দর দেখতে তোমায়। সবচেয়ে সুন্দর তোমার হাসি আর চোখ। তুমিও আড়চোখে আমায় দেখছিলে সেটা খেয়াল করেছি। জানিনা আমায় তোমার কেমন লেগেছে? পছন্দ হয়েছে তো নাকি বাড়ির কথায় বিয়েতে হ্যাঁ করে দিয়েছ? জানিও।
ইতি
জয়রাজ।

প্রিয় জয়রাজজী,
আমি আপনার চিঠি পেয়ে অবাক। আপনি তো আমায় চমকে দিয়েছেন। আমার নামে চিঠি তো কখনো আসেনা, তাই গুড্ডি যখন হাতে দিল আমি ভাবছি কে লিখবে আমায়? গুড্ডি আমার পরের বোন, সেদিন যে হলুদ সালোয়ার কামিজ পরেছিল। অবশ্য আপনি তো কারোর দিকে সেইভাবে চোখ তুলে দেখেননি তাই হয়ত মনেও নেই। কিন্তু আমার চোখ আর হাসি মনে আছে শুনে ভাল লাগল। আর্মির লোকের নজর আছে মানতে হবে। আপনার তো খুব কঠিন কাজ। বাবা বলছিল সারাক্ষন বর্ডারে যুদ্ধ করা, ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়। যাইহোক ভাল থাকবেন।
ইতি
সুরেখা।

প্রিয় সুরেখা
তোমার চিঠি পড়ে আমি খুব হেসেছি। বর্ডারে সারাক্ষন যুদ্ধ হয় কে বলেছে? হ্যাঁ পাহারায় থাকতে হয় ঠিক কথাই তবে এখন শান্তি, কোনো ডিস্টারবেন্স নেই। গুড্ডিকে মনে আছে, আমার হাতে শরবতের গ্লাস দিয়েছিল তো? ওর লেখাপড়া কেমন চলছে? স্কুল শেষ করে চণ্ডীগড়ের ভাল কোনো কলেজে ভর্তি করে দিও। সেদিন কানে যা এল শুনলাম ওর পড়াশোনায় খুব মন। এটাও একটা ট্যালেন্ট, নষ্ট হতে দিওনা। তুমি ক্লাস টেন অবধি পড়ে আর পড়লে না কেন? বিয়ের পর চাইলে বল, পড়াব তোমায়। আচ্ছা, তোমার বাবা বলছিলেন তুমি গান গাইতে পার। সেদিন শোনা হলনা। কি গান গাইতে ভালবাসো? আমি তো পুরনো গান শুনি। মান্না দে, লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার। কিশোরদার ‘আ চলকে তুঝে ম্যায় লেকে চলু’ শুনলে মনে হয় বাবার হাত ধরে পঞ্জাবের গ্রামে সর্ষের খেতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। দিগন্ত বিস্তৃত হলদে ক্ষেত, নদী, নালা…আহা আমাদের পঞ্জাব। ওয়াহে গুরু দি খালসা, ওয়াহে গুরু দি ফতেহ। বাড়ির কথা বললেই মন উদাস হয়ে যায়। ভাল থেকো।
ইতি
জয়রাজ।

প্রিয় রাজজী,
আজ থেকে এই নামেই আমি আপনাকে ডাকব, কেন জানেন? কারণ পঞ্জাবের ক্ষেতের কথা শুনে ছোটবেলায় দেখা ডিডিএলজের কথা মনে পড়ে গেল। তখনই মনে হল আপনার নামে তো রাজ আছে, ব্যাস আর জয়রাজজী নয়। আপনিও চাইলে আমায় সিমরন বলতে পারেন। সত্যি, পঞ্জাবের গ্রামের কেয়া কহেনা! পাঁচ নদীর দেশে ঈশ্বর যেন হাত খুলে সব দিয়েছেন, তাই না? খোলা আকাশের নীচে আমি আর গুড্ডি যখন ছাদে শুয়ে তারা গুনি তখন ভাবি আমাদের মত তারাদের সঙ্গে ভাব আর কজনের আছে? ভেবেইছিলাম জীবনে এখান থেকে আমি কোথাও যাব না, দেখুন তাই হল। আপনার বাড়িও এই পঞ্জাবেই, মানছি অন্য গ্রামে তাও পঞ্জাব তো!
এবার আসি লেখাপড়ার কথায়। আমার পড়তে একদম ভাল লাগেনা বলেই ক্লাস টেন অবধি পড়ে আর এগোয়নি। আপনি বিয়ের পর পড়াতে চাইলে আমি এখনি বিয়ে ক্যান্সলে করে দেব। গুড্ডি ওসব ভালবাসে, করুক। টীচার প্রফেসার যা প্রাণ চায় হোক, আমি এই ভাল। আমার কি ভাল লাগে জানেন? সংসার করতে। সারাদিন ঘরের কাজ করব, রান্না করব, বাচ্চা সামলাব। আপনি যখন বাড়ি আসবেন দেখবেন ভুল ত্রুটি ধরতেই পারবেন না, এমন সুন্দর করে সব রাখব। এখন তো রাতে ছাদে শুয়ে আর তারা গোনা হয়না। শুধু এইসবই ভাবি, কবে আপনি আসবেন, গুরুদ্বারায় আমায় বিয়ে করে নিয়ে যাবেন। চোস্ত, শেরওয়ানি আর কোমরে তলোয়ার গুঁজে আপনাকে যা লাগবে না! আমি একটু ফিল্মি কিন্তু আগেই বলে দিলাম। জলদি চিঠির উত্তর দেবেন।
সুরেখা।

প্রিয় সিমরন,
তোমার কথাই রাখলাম। রাজ আর সিমরনের আবার দেখা হল। তাই তো? ফিল্মি সেতো সেদিনই বুঝেছিলাম। বারবার কাজলের মত দুষ্টু হাসি হাসছিলে ভাই বোনেদের দিকে তাকিয়ে। চোখটা কিন্তু সত্যি তোমার কাজলের মত। আচ্ছা আমায় কি শারুখের মত দেখতে? না বোধহয়। সবাই বলে আমি অনেকটা লম্বা সলমান খানের মত দেখতে। কি জানি, আমি তো মিল খুঁজে পাইনা। তবে আমি কিন্তু শাহরুখের ভক্ত। ঘরের দেওয়ালে এক সময় ছবি ছিল। একবার শুনেছিলাম এখানে শাহরুখ খান আসবে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে, কোনো ছবির প্রমোশান হয়ত। সে আর আসেনি। এলে তোমার জন্য অটোগ্রাফ নিয়ে নেব। ছবিও তুলব।
তোমার পড়াশোনা ভাল লাগেনা? আশ্চর্য! আমার খুব ভাল লাগে কিন্তু বেশিদূর পড়তে পারলাম না। তাই তো ক্যাডেটের জব নিয়ে এখানে চলে এলাম। ঠিক আছে, গুরুনানকজী যা ভেবে রেখেছেন তাই হবে। জানোতো, লাদাখে যেখানে ম্যাগ্নেটিক হিল আছে সেখানে পথরসাহিব গুরুদ্বারায় একবার যাওয়ার ইচ্ছে। এখান থেকে বেশীদূর নয়। না, এখন যাব না। বিয়ে করে তোমায় নিয়ে যাব, কেমন? উত্তর দিতে দেরী করোনা। আমার রঙহীন জীবনে তোমার চিঠিই একমাত্র রঙিন আভা।
ইতি
রাজ।

রাজজী,
খবর কি? আপনার চিঠি হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লিখতে বসে যাই, সেটা কি জানেন? আর পরেরদিনই পোস্ট। এখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যায় কিন্তু আপনার হাতে পড়ে উত্তর আসতে অনেক সময় লাগে, না? কত দূরে আপনি! আপনার ওখান থেকে লাদাখ কাছে? কি মজা! ছবি দেখেছি, যাব আমরা। আচ্ছা, আপনার রঙহীন জীবন কেন? কি উত্তেজনা বাপরে! সারাক্ষন বন্দুক তাক করে বসে আছেন পাকিস্তানিদের দিকে। এই গুলি চললো, এই পাকিস্তান অ্যাটাক করলো। ভাবলেই আমি শিউরে উঠি। গুড্ডিকে গল্প করি রাতে যখন তুই ঘুমোস তখন তোর হোনেওয়ালা জীজাজী পাহাড়ের কোলে চোখে দূরবীন দিয়ে শত্রু খুঁজে বেড়ায়। আচ্ছা ওদের কেমন দেখতে? কি করে ওরা সারাদিন? ওরাও কি আপনাদের দিকে বন্দুক তাক করে বসে থাকে? আমি খুব প্রশ্ন করি না? বিয়ের পর বোর হবেন না তো? দেখুন আবার প্রশ্নই করছি। যাইহোক। ঠিকমত খাওয়াদাওয়া করবেন। সাবধানে থাকবেন।
সিমরন।

প্রিয় সিমরন,
তোমার চিঠি পেয়ে আমিও সঙ্গে সঙ্গে লিখতে বসি কিন্তু আজ একটু দেরী হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্পে একজন অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল, তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। জানোতো তোমার মত অনেকেই ভাবে আমরা সারাদিন রাত বন্দুক তাক করে বসে থাকি। না তা নয়। বর্ডারে নিরাপত্তা কড়া থাকে ঠিকই তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আমাদেরও মাথাব্যাথা কম। আর নানা, রাতের ডিউটতে আমি পাহাড়ের কোলে শত্রু ধরতে ঘুরে বেড়াই না। নিজের পোষ্টেই থাকি। সারাদিন কি করি জানো, একটা ড্রামে চেপে বন্দুক কাঁধে ঠায় বসে থাকি। মোবাইল টাওয়ার নেই তাই মোবাইল ঘাঁটার নো চান্স। রোদে জলে শীতে যেভাবে আমরা থাকি এতে কোনো উত্তেজনাও নেই। বরং হতাশা আছে। আমি যেখানে থাকি তার উল্টোদিকে পাকিস্তানের একটা গ্রাম দেখা যায়। কেউ নেই সেখানে। কার্গিল যুদ্ধের সময় খালি করে দেওয়া হয়েছিল তারপর আর কেউ ফিরে আসেনি। নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে কি ভাবে কোথায় তারা আছে কে জানে? ওদের কেমন দেখতে? কেমন আবার, আমাদের মত রক্ত মাংসের মানুষ। তাদেরও পরিবার সংসার আছে। হয়ত আমার মত কোনো রাজ অপেক্ষা করে থাকে কবে তার সিমরনের চিঠি আসবে। ছাড় এসব কথা, বলতো দিন গুনছো কি? আর তো দুমাস তারপর তোমায় নিতে আসছি।
তোমার রাজ।

প্রিয় রাজজী,
ওখানে মোবাইল নেই? তাহলে কি করেন সারাদিন? সময় কাটে কি করে? আমি তো নেট ছাড়া থাকতেই পারিনা। এখানে অবশ্য এখনও ৩জি, সারাক্ষন গোল গোল নেট ঘুরছে…তাও তো আছে বলুন। আর আপনি, আমি তো ভাবতেই পারছিনা সারাদিন একটা ড্রামে চেপে বসে থাকেন। করতে হবেনা এই কাজ, চলে আসুন। খেতি বাড়ি করে আমরা দিব্যি থাকব। আর শুনুন, ওদের ব্যাপারে ইমোশানাল কথা বলবেন না তো। আমাদের পঞ্জাবের কি হাল হয়েছিল দেশভাগের সময় শুনেছেন তো? ওরা মানুষ নয়, শয়তানের দল। আপনারা পারেননা এক রাতে গুলি চালিয়ে সবকটাকে মেরে ফেলতে? মাথাটা এমন গরম হয়ে গেল যে আর লেখাই বেরোচ্ছে না।
সিমরন।

প্রিয় সিমরন,
মাথা ঠান্ডা হয়েছে? নাকি একগাড়ি বরফ পাঠাতে হবে। অবশ্য এখন তো শীত পড়ছে তাই জল ঢাললেও কাজ হতে পারে। এইটুকু কয়েক লাইনের চিঠিতে আমার মন ভরেনা, তাই ওসব আলোচনা আমরা আর করব না। তুমি যেটা বলেছ সেটাও হবে। এক সময় রিটায়ার করে ক্ষেতি বাড়ি করার স্বপ্ন আমারও তবে তার আগে একবার যখন ইউনিফর্ম গায়ে চাপিয়েছি তখন তার মর্যাদা রক্ষা করা সব কিছুর ওপরে, বুঝলে আমার ছোট্ট সিমরন? সত্যি তুমি এখনও ছোট। হাইটেই বড় হয়েছ, মাথায় কিছু নেই নাহলে কেউ বলে এক রাতে সবাইকে গুলি করে দিতে। আমার বন্ধু চরণ সিং কে বলতে ও তো হেসেই খুন। বলছে তোকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করার জুরমে। যা বুঝতে পারছি, বিয়ের পর তোমায় মানুষ করতে আমায় অনেক সময় দিতে হবে। লম্বা লম্বা ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে হবে তবে যদি ম্যাডামকে বড় করা যায়। আচ্ছা শোনো, আজ চরণের জন্মদিন, তাই ডাকাডাকি করছে একসঙ্গে রাতের খাবার খেতে হবে। টাটা।
রাজ।

রাজজী,
আমি আর লিখব না তোমায়। তুমি আমার লেখা লোককে পড়ে শোনাও। এই আমার শেষ চিঠি।
সিমরন।

সিমরন,
আরে নানা, সেদিন শুধু ওই কথাটাই শুনিয়েছিলাম নাহলে আমাদের পার্সোনাল চিঠি চরণকে পড়ে শোনাব কেন? আচ্ছা আই এম সরি। রাগ কমেছে? এবার বল, আছ কেমন? পঞ্জাবে এবার ঠান্ডা কিরকম? সকালে নিশ্চয় কুয়াশায় চারদিক ঘেরা? খুব মিস করছি। ছোটবেলায় এই সময়টায় আমি আর দিলজীত সাইকেল নিয়ে মাইল দুয়েক পেরিয়ে রাভির ধারে কতক্ষন বসে থাকতাম। কুয়াশা কেটে সূর্য উঠলে বাড়ি ফিরে পড়তে বসতাম। কি সব দিন ছিল! তুমিও একদিন গিয়ে দেখ গুড্ডির সঙ্গে, রোজ যেতে ইচ্ছে করবে। রাভীর জলের দিকে তাকালে আমায় দেখতে পাবে, অপলক তোমার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার সিমরনকে দেখছি। সাদা সালোয়ার কামিজ আর কারডিগানে পরীদের মত সুন্দর লাগছে। দেখেছ তোমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমিও ফিল্মি হয়ে গেছি। আর দেড় মাস। তারপর…মেহেন্দি লগা কে রখনা।
ইতি
রাজ।

রাজজী,
ওয়াহে গুরুর কৃপায় একজন রোম্যান্টিক আর্মি ম্যানের সঙ্গে আমার বিয়ে হচ্ছে নাহলে যে কি হত আমার? কি ভাল লাগল আপনার কথাগুলো। আমি কিন্তু অনেক সময় সাদা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে সাদা কারডিগান পরি, আমার ফেভারিট। তবে আমি দু মাইল সাইকেল চালাতে পারবোনা, গুড্ডিকে বলব ওর সাইকেলে বসিয়ে আমায় নিয়ে যেতে। আচ্ছা, সত্যি রাভীর জলে তাকালে আপনাকে দেখতে পাব? পাব, কারন আমি এখন যেদিকে তাকাই সেদিকেই আপনাকে দেখতে পাই। ঘরে একা থাকলে মনে হয় আপনি সবসময় নজর রাখছেন আড়াল থেকে। রাতে ঘুমোতে শুলে মনে হয় আমার কপালে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছেন। আয়নার সামনে দাঁড়ালে আপনাকে আমার পাশে দেখতে পাই। গুড্ডি এই নিয়ে সারাক্ষন খেপায় আমায়। সেদিন বিয়ের বাজার করতে গেছি, বলছে গয়নার দোকানের লোকটার দিকে আমি নাকি হাঁ করে তাকিয়েছিলাম, আপনি ভেবে। আসলে বিয়ে এগিয়ে আসছে তো, এসব বেশী করে শুরু হয়েছে। আপনার ছুটি তো মনজুর হয়ে গেছে জানি, ঠিক কবে এসে পৌঁছচ্ছেন জানাবেন।
সিমরন।

প্রিয় সিমরন,
আর কিছুদিনের মধ্যে রওনা হচ্ছি এখান থেকে। দুদিন লাগবে বাড়ি পৌঁছতে। হয়ত আমি এই চিঠির আগেই পৌঁছে যাব। বিয়েতে ব্যান্ড নিয়ে আসছি কিন্তু। কি গান বাজবে সেটা নিশ্চয় বলে দিতে হবেনা। আচ্ছা বলেই দিই, তোমার প্রিয় ডিডিএলজের গান। এদিকে একটা খারাপ খবর। চারদিন হল পাকিস্তান আর্মি শেলিং শুরু করেছে। গুরু নানকজীকে ডাকছি যেন আমার ছুটি ক্যান্সেল না হয়ে যায়। তুমিও প্রার্থনা কর।
তোমার রাজ।

জয়রাজ?
চরণের গলা পেয়ে চিঠিটা তাড়াতাড়ি ট্রাঙ্কের ওপর রেখে পোস্টের গেটে এসে দাঁড়ায় জয়রাজ।
খবর পাক্কা।
কতজন ক্রস করেছে?
৫জনের দল। বয়স সব কুড়ির মধ্যে। আজ রাতে অপারেশন। জরুরি মিটিং দু মিনিটে। কাম ফাস্ট।
চরণ চলে গেলে জয়রাজ ঘরে এসে একবার থমকে দাঁড়ায়। ট্রাঙ্কের ওপর পড়ে থাকা চিঠিটা তুলে ভেতরে রেখে বেরিয়ে যায়। চিঠি। মানে একগাদা সাদা কাগজের স্তুপ। একই কাগজে, একই কালিতে একই হাতের লেখায় লেখা রাজ আর সিমরনের প্রেমের আখ্যান…একটাই মানুষের একাকীত্বের গল্প।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

3 thoughts on “short-story-raaj-o-simran

  1. চিঠি শব্দটাই তো আমাদের কাছে দিন দিন অচেনা হয়ে যাচ্ছে । পাঠককে চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। খুব ভালো লাগল ।

  2. বিষয় ভাবনা, লেখনী ও গঠন সবই খুব সুন্দর লাগলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *