ভগমানের বোঝ

ভগমানের বোঝ
সুজন ভট্টাচার্য
-কি গো, কী আনব বললে না তো!
কানের উপরে রবারের ব্যান্ডটা ঠিক করতে করতে তাপস একটু জোরেই বলে উঠল। জানলার পর্দাটা উড়ছে। আর তার ফাঁক দিয়েই টের পাওয়া যাচ্ছে বৈশাখের শুরুতেই রোদটা একেবারে হামলে পড়েছে। এখনই এই! তাহলে বাকি বছরটা যে কী হবে ভাবাই যায় না। ভেবে অবশ্য আর লাভ নেই। এখন আর কেউ বছর নিয়ে ভাবছে না, এমনকি মাস ধরেও নয়। সপ্তাহের হিসেবটাও অনেকের কাছেই নেই। প্রত্যেকেই বাঁচছে শুধু আজকের দিনটার খবর নিয়েই। রাতটা তো ঘুমনো যাক। কাল ঘুম ভাঙলে আবার নতুন খবর।

-বাপি, একটা জিনিষ খেয়াল করেছ!
আচমকাই মুন্নি দৌড়ে এসে ঘরে ঢুকল। ব্যালকনিতেই দাঁড়িয়ে কিছু দেখছিল মনে হয়। কী আর করবে! পড়াশুনোর বালাই নেই। স্কুল তো বন্ধ। কাঁহাতক আর পড়তে বসতে বলা যায়!
-বল।
-বাপি, একটা কাক-ও তো দেখছি না। কোথায় গেল বলো তো!
কাক! মুন্নি আর দেখার কিছু পেল না! তাপস তো কতজনকেই দেখতে পাচ্ছে না। জাফর আর পিন্টুকে বারবার ফোন করেও আনাতে পারেনি। অর্ডারটা নিতেই পারল না। এই বাজারে এত টাকার কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। বিমলেন্দুও ভেলোরে। প্রতি বছরই এই সময়ে যায়, চেক আপের জন্য। সে সব হয়ে গেছে। কিন্তু ফিরতে পারেনি। হোটেলেই আছে। ইতিমধ্যে এক বার টাকা পাঠিয়েছে তাপস, নেটে। ফিরে এলে পেয়ে যাবে ঠিকই। কিন্তু ফিরবে কবে? আদৌ ফিরবে তো!
-ও বাপি, কিছু বলছ না কেন?
মুন্নি ওর হাত ধরে টান লাগাল।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাপস জবাব দিল, যাবে আর কোথায়! দেখ, কোথায় খাবার পেয়েছে; সেখানেই ভিড় করেছে।
-ও বাপি, ওদের জন্য একটু বিস্কুট এনো না! আমি ছাদে দিয়ে আসব।
হেসে ফেলল তাপস। মুন্নির মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, আচ্ছা, নিয়ে আসব। তোর মা কোথায় গেল? বাজার যেতে হবে তো।
কথাটা শেষ করতে না করতেই সুচন্দ্রা ঢুকল ঘরে। মোবাইলটা কানে ধরা। মুখটা গম্ভীর। আবার কিছু হল নাকি! তাপসের দিকে একঝলক তাকিয়ে বলল, আজ চিকেন এনো তো। একটু ছোট পিস করাবে। তারপরই বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
ঘাড় নেড়ে তাপস এগিয়ে গেল সিঁড়ির দিকে। দরজাটা খুলতে খুলতেই কানে এল মুন্নির গলা, বাবা বিস্কুট এনো কিন্তু।

ফর্দ বাড়ছে, সে ঠিক আছে। কিন্তু তাপসের কথা কে ভাববে? মার্চে একটা পয়সা পেমেন্ট আসেনি। নেহাত সুচন্দ্রার মাইনে ছিল। দুটো অর্ডার পেয়েও ছেড়ে দিতে হল স্রেফ স্টাফ না আসায়। এমন চললে ওকেও তো দাঁড়াতে হবে লাইনে। ভাবতে ভাবতেই মাথাটা নিচু করে তাপস এগোচ্ছিল ষষ্ঠীতলার বাজারের দিকে। ডানহাতে সামান্য একটু ছায়া রাস্তার কিনারা বরাবর মটকা মেরে পরে আছে। কিন্তু একটা প্রায় ছ’ফুটের শরীরকে ঢেকে রাখার পক্ষে যথেষ্ট নয়। রোদটা কি আসলে শিক্ষা দিতে চাইছে? যাবতীয় ছায়া এভাবেই আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে, চড়া রোদের সঙ্গে খুল্লমখুল্লা চলতে হবে, এমনটাই কি বুঝিয়ে দিতে চাইছে?
খুব একটা ভিড় নেই আজকে। আজ অবশ্য তাপসের দেরিই হয়েছে। এত বছরের রুটিনটা পুরো চটকে গেছে তো। পুরনো ফর্মে ফিরে আসতে বেশ কষ্টই হবে। এমনিতে বাজারে এলে দু-চারজনের সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তা হয়। বাবুর চায়ের দোকানে পাচ-সাত মিনিট বসে; এককাপ চা আর একটা সিগারেট। বছর পনেরোর অভ্যাস। বাবু আজকাল আর দোকান খোলে না। বাইরেই আলু-পেঁয়াজ সাজিয়ে বসে। ভিতরের পাকা বাজারটা তাপস আজকাল এড়িয়ে যায়। গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে মাল কিনতে হয়। বাইরের রাস্তায় যারা বসে, তাদের সামনে বরং ফাঁকাই থাকে। এদিক ওদিক ঘুরে সবজি নেওয়া হল। এবারে মানিকের দোকান, চিকেন নিতে হবে।
-তাপস, বাজার হল তোর?
সুকান্ত। তাপসদের গলিটা ছেড়ে কয়েকটা বাড়ি পরেই থাকে।
-ওই আর কি, উত্তর দিল তাপস।
-তুই কি এই এলি বাজারে?
আচমকাই সুকান্তর গলাটা নেমে গেল। ফিসফিস করে বলল, তোর কাছে শ-পাঁচেক হবে? মাইনেটা পেলেই দিয়ে দেব।
চমকে গেল তাপস। সুকান্ত একটা এক্সপোর্ট ফার্মে চাকরি করে। মাইনেপত্তর তো খুব খারাপ না! তাহলে?
-বাবার অপারেশনটা হল তো। হাত ফাঁকা। এ মাসে কোম্পানি পুরো মাইনে দিতে পারেনি। তবে সামনের মাসে বলেছে দেবে।
এ কথার কি আর কোন জবাব হয়! পার্সটা বের করে তাপস একটা পাঁচশ টাকার নোট এগিয়ে দিল সুকান্তর দিকে। সুকান্তর মুখে ফ্যাকাশে একটা হাসি। ঢোক গিলে বলল, বাঁচালি ভাই। আসি রে। মাইনে হলেই পেয়ে যাবি।
চিকেনের দোকানও ফাঁকা। সুচন্দ্রা বলেছিল একটু বেশিই নিতে। কতটা? ঠিক আছে, দেড় কেজিই নেওয়া যাক। ছোট পিস করিস মানিক, তাপস একটু জোরেই বলল।
-চিলি হবে নাকি দাদা? মানিক মাথাটা নাড়তে নাড়তে জিজ্ঞাসা করল।
তাপস কি আর সে সব জানে! তাই উত্তর না দেবার মতো করেই বলল, ওই আর কি।

সিগারেট ধরিয়ে তাপস আবার বাড়ির রাস্তা ধরল। গোটা রাস্তাটা ফাঁকা। পুলিশের একটা গাড়ি আসছে। কী মনে হতে তাপস সিগারেটটা ফেলে দিল। কানের উপরের রবার ব্যান্ডটা টানাটানি করে ঠিক করে নিল। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে, গাড়ির ভিতরে বসা একটা পুলিশ ওকেই দেখছে। একটু অস্বস্তি হল তাপসের। ওকে দেখছে কেন? কী করেছে ও? আজকাল পুলিশ নাকি কাউকেই বিশেষ রেয়াৎ করছে না। যাকে তাকে টানাহ্যাঁচড়া করছে। হনহন করে হাঁটতে শুরু করল তাপস। গলির মুখে এসে একবার পিছনে ফিরল। গাড়িটা বাজারেই দাঁড়িয়ে গেছে। আবার কী হল! নাহ, বেশি ভেবে কাজ নেই। তাপস ঢুকে পড়ল গলির মধ্যে।
আজকাল বাড়িতে কেউই খুব বেশি কথা বলে না। টিভিটাও প্রায়শই ঘুমিয়ে থাকে। সবই কেমন যেন ঝিম মেরে আছে। কয়েকদিন আগেও কত হল, কত বাড়ল, মন দিয়ে শুনত সবাই। আজকাল আর ইচ্ছেও হয় না। কী হবে জেনে? তার থেকে যেমন চলছে, তেমনই চলুক।
জামাকাপড় ছেড়ে তাপস এসে সোফায় বসল। সুচন্দ্রা চায়ের কাপ রেখে গেছে টেবিলে। একটা চুমুক দিয়েছে, ঝড়ের মত ঢুকে পড়ল মুন্নি।
-বাপি, বিস্কুট?
এই যা! একদম মনে ছিল না। তাপস কিছু বলে ওঠার আগেই সুচন্দ্রা জিজ্ঞাসা করল, -তোর বিস্কুট তো আছে।
-না, কাকদের খাওয়াব বলে আনতে বলেছিলাম।
একটু কাঁচুমাচু মুখে তাপস বলল, মনে ছিল না রে। তারপর আবার পুলিশ চলে এল।
মুন্নির মুখটা সামান্য শুকিয়ে গেল। ওর হাতটা ধরে তাপস সান্ত্বনা দেবার মতো সুরে বলল, তোর থেকে দুটো দিয়ে দে। কাল এনে দেব।
-দেব, মা?
-দে। ভেঙে দিস কিন্তু।
মুন্নি লাফাতে লাফাতে চলে গেল। সুচন্দ্রাও আর কথা না বলে বেরিয়ে গেল। এবারে কিচেনে ঢুকবে। রান্না শেষ হলে তবে তাপস স্নান করতে যাবে। মুন্নি সেরে ফেলবে তার আগেই। সোফায় বসে বেশ ঝিমই লাগছিল। কী যে হচ্ছে! পরিশ্রম নেই বললেই চলে। তবুও ঘুম পায়। আস্তে আস্তে তাপস শরীরটা এলিয়ে দিল সোফার বুকে।
আচমকাই ওর কানের কাছে একটা সাইরেনের বিকট শব্দ। কী হল! আগুন? নাকি পাকিস্তানের প্লেন অ্যাটাক করেছে? ধড়ফড় করে উঠে বসল তাপস। চোখটা খুলেই দেখল মুন্নি খিলখিল করে হাসছে। হাতে শব্দ করা চাবির রিংটা। হাই তুলে তাপস জিজ্ঞাসা করল, তোর মায়ের রান্না কমপ্লিট?
-তোমাকে জলদি রেডি হতে বলল।
-যাচ্ছি। সবে তো সাড়ে বারোটা।
-সে আমি জানি না, মুন্নি মাথা নাড়িয়ে জবাব দিল, তোমাকে চট করে স্নান করে নিতে বলল।
-তুই করবি না?
-পরে।
কথা না বাড়িয়ে তাপস ঢুকে পড়ল বাথরুমে। স্নান সেরে বেরিয়ে আসতেই সোজা সুচন্দ্রার মুখোমুখি।
-আমাকে একটু বেরোতে হবে। তুমি স্কুটার-টা নিয়ে আসতে পারবে?
না পারার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যাবে কোথায়? যাকগে, দরকার আছে নিশ্চয়ই। প্যান্ট-শার্ট পরে নিল তাপস। স্কুটারের চাবিটা নিয়ে সিঁড়ির দিকে এগোতে এগোতে বলল, আমি নামছি।
বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হল না। সুচন্দ্রা বেরিয়ে এল। হাতে প্লাস্টিকের একটা প্যাকেট।
-কী নিলে? তাপস জিজ্ঞাসা করল।
-খাবার, সুচন্দ্রা অন্যমনস্কভাবে উত্তর দিল। সেটা তাপস বুঝতেই পেরেছে। হয়তো ওর স্কুলের কারো বাড়িতে যাবে। বাচ্চার জন্মদিন আছে বোধহয়।
স্কুটারটা স্টার্ট করতে করতেই তাপস আবার জিজ্ঞাসা করল, কাদের বাড়ি যাবে?
-চন্ডীতলার মাঠের দিকে চলো।
-ওখানে আবার কার বাড়ি যাবে? তাপস একটু অবাকই হয়ে গেল।
সুচন্দ্রা উত্তর দিল না। কথা না বাড়িয়ে তাপস অ্যাকসিলারেটর আস্তে আস্তে ঘোরাতে শুরু করল। চণ্ডীতলার মাঠটা খুব দূরে নয়। মিনিট তিনেকের মধ্যেই ওরা পৌঁছে গেল। এবারে কোনদিকে? পুকুরটার পাশে আসতেই তাপসের পিঠে টোকা দিয়ে সুচন্দ্রা বলল, এখানেই রাখো।
এখানে! এখানে তো বাড়িঘর কিচ্ছু নেই! তাপস অবাক হয়ে সুচন্দ্রার মুখের দিকে তাকাল। আঙুল তুলে মাঠের ধারের কৃষ্ণচূড়া গাছটার দিকে ইশারা করল সুচন্দ্রা। ওখানে তো কেউ নেই। গাছটার ছায়ায় গোটাদশেক কুকুর শুধু ঘুমিয়ে আছে। ওগুলোর ঘুমের কায়দা দেখে তাপস হেসে ফেলল মনে মনে। একটু আগেই নিজেও দিব্যি একটা ঘুম সেরে এসেছে। আর এখানে কুকুরগুলোও বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ঘুমোচ্ছে। স্কুটারের আওয়াজেও কোনো হেলদোল নেই। বেশ একটা সাম্য এসে গেছে পৃথিবীতে।
-যাবে কোথায়? তাপস জিজ্ঞাসা করল। মুখে কোন কথা না বলে কয়েক পা এগিয়ে গেল সুচন্দ্রা। কুকুরগুলোর দিকে। হাতপাঁচেক দূরে দাঁড়াল। হাতের প্লাস্টিকের ব্যাগটা রাখল মাঠের উপর। ভিতর থেকে একটা বড় প্লাস্টিকের ক্যান বের করল। বেশ জোরে ডাক লাগাল, – আয়… আয়… আয়..। বলতে বলতেই ক্যানটার ঢাকনা খুলে উপুড় করে দিল মাটির উপরে। হলদে রঙের থকথকে জাবের মতো কিছু একটা ছড়িয়ে পড়ল মাটিতে। কুত্তার বিরিয়ানি, তাপস মনে মনে বলল। সুচন্দ্রা আরেকবার ডাক লাগাল। এতক্ষণে কুকুরগুলো টের পেয়েছে। লাফ দিয়ে উঠে এল খাবারের কাছে। দুয়েকবার গন্ধ শুকেই মুখ লাগাল খাবারে।
সুচন্দ্রার এমন অনেক পাগলামি আছে। তাপস সাধারণত আপত্তি করে না। আবার আগ্রহও দেখায় না। যতটা বলে, করে দেয়। যে যেমন ভালবাসে, থাক।
-চলো, সুচন্দ্রা বলল। ব্যাগটা এখনো ফাঁকা হয়নি। তাপস তাই জিজ্ঞাসা করল, আবার কোথাও যাবে নাকি?
-একবার বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলো ঘুরে আসি।
তাপস স্কুটারটা স্টার্ট করতে যাবে, পিছন থেকে আচমকাই একটা আওয়াজ, ও মা, আমাকে দিবি না!
একটা বুড়ি। কঞ্চির মত দুটো হাত, বগলে একটা পোটলা। চোখদুটো এতটাই ভিতরে ঢুকে গেছে প্রায় টেরই পাওয়া যায় না। সুচন্দ্রার সামনে দাঁড়িয়ে বুড়িটা আবার বলল, – আমায় দে!
-ও তুমি খেতে পারবে না, সুচন্দ্রা একটু অস্বস্তির সঙ্গেই বলে উঠল, ওটা কুকুরের খাবার।
ফোকলা মাড়ি বের করে বুড়িটা বলে উঠল, খুব পারব। দে, দে। সুচন্দ্রা চুপ। বুড়িটা আরেক পা এগিয়ে এল সামনে। বলল, দে না মা, কিচ্ছু খাইনি।
সুচন্দ্রা একবার তাপসের মুখের দিকে তাকাল। মুখটা কেমন যেন হতভম্ব হয়ে গেছে। আবার বুড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি এখানে বোসো। আমরা তোমার জন্য বাড়ী থেকে খাবার নিয়ে আসছি।
বুড়িটা মুখ তুলে তাকাল। একটা ঢোক গিলল। তারপর হাসিহাসি মুখে বলল, – তোকে আর কষ্ট করতে হবে না। দে, ওটাই দে। বলেই সুচন্দ্রার হাত থেকে প্যাকেটটা কেড়ে নিতে গেল। ছোঁয়া লেগে যাবার ভয়েই বোধহয় সুচন্দ্রা তড়িঘড়ি হাত সরিয়ে নেবার চেষ্টা করল। কিন্তু অতর্কিত ঝাঁকুনিতে হাতের মুঠো আলগা হয়ে প্যাকেটটা পড়ে গেল মাটিতে। ক্যানের ঢাকনা খুলে খানিকটা খাবার ছিটকে এল বাইরে। একটা শিকারী বাজের মতো বুড়িটা মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ল প্যাকেটটার উপর। বগলের পোটলাটা ছিটকে পড়েছে খানিকটা দূরে। দুই হাতে আড়াল করে ফেলল প্যাকেটটা; যেন কেউ কেড়ে নিতে আসছে। প্যাকেটের গায়ে যতটুকু লেগে ছিল, জিভ দিয়ে চাটতে শুরু করল। শিউরে উঠল তাপস। মুখ লাগানোর আগে কুকুরগুলো তবু গন্ধ শুঁকেছিল। আর বুড়িটার সেই তরটুকুও সইল না!
আকাশের দিকে মুখটা তুলে অদৃশ্য কাউকে উদ্দেশ্য করে বুড়িটা বলে উঠল, হ্যা, বলে কিনা কুকুরের খাবার!
সামান্য উঁচু হয়ে বসল বুড়িটা। ক্যানের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তুলে আনছে থলথলে জাবের মতো খাবারটা। সুচন্দ্রার দিকে তাকিয়ে আবার একগাল হেসে ফেলল। মাথাটা নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলল, ভগমানের বোঝ, বুঝলি!
তাপস শুধু দেখতে থাকে, বুড়ির লিকলিকে হাত বেয়ে গড়িয়ে নামছে হলুদ রঙের সেই জাব, ভগমানের বোঝা।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *