travel-plague-and-prairie-dog

প্লেগ এবং প্রেইরি ডগ
রাখী নাথ কর্মকার


ব্রাইস ক্যানিয়ন…অসংখ্য হুডূতে সুসজ্জিত অশ্বক্ষুরাকৃতি অ্যাম্পিথিয়েটারের সমষ্টি যা দক্ষিণ ইউটার পনসাগান্ট মালভূমির পূর্বদিগন্ত জুড়ে অবস্থান করছে। উচ্চ পাথুরে মালভূমির আদিম সুবিশালতার মাঝে ঝোপঝাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে চঞ্চল ইউটা প্রেইরি ডগ! পথের ধারে সেজব্রাশের জঙ্গল থেকে উঁকি মারা ছোট্ট প্রাণীটিকে দেখেই আমার হাতের কুকির টুকরোটা এগিয়ে দেব ভাবছিলাম…সঙ্গে সঙ্গেই কোত্থেকে যেন মাটি ফুঁড়ে আবির্ভূত হলেন পার্ক রেঞ্জার-“উঁহু, উঁহু! ওই কাজটি মোটেই করবেন না। সামনেই হোর্ডিংএ বিধিসম্মত সতর্কবাণী দেখেন নি? বন্যপ্রাণীরা অন্যের কাছ থেকে খাবার পেলে এই হ্যান্ডআউটগুলির উপর নির্ভর করে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে, তারপরে তারা নিজেরা খাবার সংগ্রহ করতেই ভুলে যায়! শুধু তাই নয়, ওদের খাওয়ানোর চেষ্টা কিন্তু আপনার পক্ষেও ভীষণ ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াতে পারে, ওরা কিন্তু ‘বিউবোনিক প্লেগে’র বাহক হতে পারে!” পার্ক রেঞ্জার জানালেন, প্রেইরি ডগ বা গ্রাউন্ড স্কুইরেলের শরীরে বাস করে প্লেগ বহনকারী একজাতীয় মাছি যারা এক লাফে দশ ফুট অবধি উচ্চতায় পৌঁছতে পারে!

হ্যাঁ, চোদ্দশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় অর্ধেক ইউরোপকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল সেই ভয়াবহ প্লেগ কিন্তু এখনো নির্মূল হয়ে যায় নি! প্রায় পঁচাত্তর প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্লেগআক্রান্ত মাছি বহন করতে দেখা গেছে। অবশ্য আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে বর্তমানে তা থেকে আর মহামারীর রূপ নেওয়া সম্ভব নয়! অ্যারাইজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নেও সাড়ে চার হাজার ফুটের ওপরে সংক্রমিত মাছি বসবাস করে। সেখানকার বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা রোগটি শণাক্ত ও নির্মূল করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন। ২০১৫ সালে, সাউথ রিমের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে প্রেইরি ডগ, গ্রাউন্ড স্কুইরেল ধরে তাদের শরীর থেকে মাছির স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষাও করা হয়েছিল। অবশ্য, কোন আক্রান্ত মাছির নিদর্শন মেলে নি।

পার্ক রেঞ্জার পরিসংখ্যান দিতে শুরু করলেন- ২০১৯ সালের জুলাইয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস’ ডেনভারের উত্তরে পনেরো হাজার একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত কলোরাডোর ‘রকি মাউন্টেন আর্সেনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজি’ বন্ধ করে দেয়, কারণ সেখানকার ‘ব্ল্যাকটেলড প্রেইরি ডগ কলোনি’র মাছিতে প্লেগ ব্যাকটিরিয়াম ‘ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস’ পাওয়া গিয়েছিল। কলোনিগুলিতে পাউডার ইনসেক্টিসাইড ছড়ানো হয়েছিল। পীনাট-বাটার ফ্লেভার মেশানো খাবার টোপ দিয়ে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। এমনকি হাইকিং, ক্যাম্পিং এরিয়াগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই প্লেগ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সারানো গেলেও এর ইতিহাস কিন্তু ভয়ঙ্কর। ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’এর মত অনুযায়ী এই প্লেগই দায়ী ছিল চোদ্দশ শতকের অতিমারী ‘ব্ল্যাক ডেথে’র জন্যে, যার আক্রমণে ইউরোপের প্রায় ষাট শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এই প্লেগ এখনও আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে মাঝে মাঝেই দেখা যায়। ইতিহাস বলে, উনিশ শতকের শেষার্ধে চীনে এক মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৮৯৪ সালে সেই প্লেগ হংকংয়ের বন্দর থেকে রোগ বহনকারী মাছির মাধ্যমে সারা বিশ্বের বন্দর শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে প্রায় দশ মিলিয়ন মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। ‘বিউবোনিক প্লেগ’ ১৯০০ সালে চিনাটাউন হয়ে ‘র‍্যাট ইনফেস্টেড’ জাহাজের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল, যদিও স্থানীয় কর্মকর্তারা তখন এই রোগটিকে স্বীকার করতে চান নি। অবশেষে ১৯০৬ সালে এই মহামারী ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। তবে ‘ইয়ারসিনিয়া পেস্টিসে’ কেবল মানুষই আক্রান্ত হয় না। ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণীকে সংক্রামিত করলে এই প্লেগকে বলা হয় ‘সিলভ্যাটিক প্লেগ’, যা প্রায় নব্বই শতাংশ প্রেইরি ডগকেই ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে পারে। বর্তমানে, বেশিরভাগ বিউবোনিক প্লেগের ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমাঞ্চলের ‘প্রেইরি ডগ টাউনে’ই দেখা যায়। সি ডি সির তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর আশি শতাংশ প্লেগ এই বিউবোনিক প্লেগের কারণেই ঘটে।

প্লেগের মধ্যে সবচেয়ে কমন হল ‘বিউবোনিক প্লেগ’। এই ধরনের ‘জুনোটিক ডিজিস’ সাধারণত সংক্রামিত হয় যখন কোনও সংক্রামিত মাছি বা প্রাণীর দ্বারা। খুব বিরল ক্ষেত্রে, কেউ কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও আক্রান্ত হতে পারেন। ‘বিউবোনিক প্লেগ’ সাধারণত লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে আক্রান্ত করে। ‘সেপ্টিসেমিক প্লেগ’ দেখা দেয় যখন ব্যাকটেরিয়া সরাসরি রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে, ‘বিউবোনিক’ এবং ‘নিউমোনিক’ উভয় প্লেগই ‘সেপটিসেমিক প্লেগে’ রূপ নিতে পারে। ‘নিউমোনিক প্লেগ’ দেখা দেয় যখন ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে মারাত্মক হল এই ‘নিউমোনিক প্লেগ’ যা সংক্রামিত মাছি ছাড়াও কেবলমাত্র ব্যক্তি থেকেই অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমণ হতে পারে। ‘বিউবোনিক’ ও ‘নিউমোনিক’ প্লেগের পিছনে দায়ী ব্যাকটেরিয়া ‘ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস’।

১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারতেও ‘নিউমোনিক প্লেগে’র প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল, যাতে পঞ্চাশজন মারা গিয়েছিল। লস অ্যাঞ্জেলসে শেষ ‘নিউমোনিক প্লেগ’ দেখা দিয়েছিল ১৯২৪ সালে। ২০১৪ সালে, কলোরাডোর চারজন বাসিন্দার মধ্যে ‘নিউমোনিক প্লেগ’ ছড়িয়ে পড়েছিল। ‘হু’র রিপোর্ট অনুসারে ২০১৩ সালে, মাদাগাস্কারে ‘নিউমোনিক প্লেগে’ ২০২ জন মারা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের ১২ ই নভেম্বর, চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ায় দুজনের ‘নিউমোনিক প্লেগ’ ধরা পড়ে। মঙ্গোলিয়ায় ২০১৯ সালের মে মাসে এক দম্পতি ‘বিউবোনিক প্লেগে’ মারা গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে, এবং এই ২০২০ সালের জুলাইতেই চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ায় ‘বিউবোনিক প্লেগ’ দেখা দিয়েছে। ১৯০০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতি বছর গড়ে প্রায় সাতটি করে প্লেগের ঘটনা সামনে এসেছে। ইডাহোতে ২০১৮ সালে একটি শিশু ‘বিউবোনিক প্লেগে’ আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, পার্ক রেঞ্জার বললেন-সামগ্রিকভাবে, দক্ষিণ ইউটায় মানুষের মধ্যে প্লেগের প্রাদুর্ভাব কম। গত দশ বছরে ইউটাতে প্লেগের দুটি ঘটনা ঘটেছে-২০০৯ ও ২০১৫ সালে।

প্লেগ পরিসংখ্যান থেকে বেরিয়ে ‘ইউটা প্রেইরি ডগ’দের সম্বন্ধেও পার্ক রেঞ্জার বেশ কিছু অজানা তথ্য দিলেন আমাদের। জানালেন, উত্তর আমেরিকার তৃণভূমিতে বসবাসকারী ‘প্রেইরি ডগ’দের পাঁচটি প্রজাতির মধ্যে ‘ইউটা প্রেইরি ডগ’ হল ক্ষুদ্রতম প্রজাতি, যাদের কেবলমাত্র দক্ষিণ-পশ্চিম, মধ্য ইউটাতেই দেখা যায়। এদের গায়ের লোম বাদামি বা কালো। চোখের ওপর হালকা কালো ভুরু রয়েছে। এরা গর্ত খুঁড়ে, ফসল খেয়ে খামারের ক্ষতি করে বলে ইউটার চাষীরা পশুটিকে ধ্বংস করতে যথেচ্ছ বিষ ব্যবহার করে থাকেন। ফলে ১৯২০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে, মানুষের দ্বারা আবাসিক এলাকা দখলসহ বিভিন্ন সমস্যা, এবং ভয়াবহ প্লেগের কারণে তাদের জনসংখ্যার প্রায় সাতাশি শতাংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউরোপীয় ঔপনিবেশকরা পশ্চিমের বিশাল প্রেইরি ডগ টাউনের উপনিবেশ সম্বন্ধে লিখেছিলেন, প্রেইরি ডগের বাসস্থান মাইলের পর মাইল প্রসারিত ছিল। শুধুমাত্র টেক্সাসের একটি টাউনই পঁচিশ হাজার স্কোয়ার মাইল বিস্তৃত ছিল। কিন্তু ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অফ নেচারে’র রেড লিস্ট অনুসারে, ‘বিপন্ন’ ইউটা প্রেইরি ডগের সংখ্যা এখন দশহাজারেরও কমে এসে দাঁড়িয়েছে!

আপাতত আশ্চর্য জীব প্রেইরি ডগদের সম্বন্ধে একটু কিছু বলে নেওয়া দরকার। প্রেইরি ডগরা প্রায় পঁচিশটি প্রবেশপথ সমন্বিত পাঁচ থেকে সাতমিটার গভীরতায় মাটির নিচে বিশাল গর্তের উন্নত নেটওয়ার্কের তৈরি করে বসবাস করে! ইউটা প্রেইরি ডগ মূলতঃ তৃণভোজী, তবে ছোট পোকামাকড়ও পছন্দ করে এবং কেবল ইউটার স্থানীয় কয়েকটি প্রজাতির ঘাসই বেছে খায়। প্রেইরি ডগ হ’ল প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে সামাজিক জীব। এরা টানেল এবং চেম্বারে বিস্তৃত ‘টাউন’ বা ‘কলোনি’ তৈরি করে। বৃহত্তর কলোনির মধ্যে বেশ কয়েকটি উপগোষ্ঠী থাকে, যেমন ‘ক্ল্যান’ বা ‘কোটারি’ নামক পরিবারগোষ্ঠী, যা সাধারণত দু-তিনটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাসহ এক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নিয়ে গঠিত। এরা প্রতি বছর মোটামুটি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইবারনেট করে। প্রেইরি ডগরা হারেম-পলিজিনাস, অর্থাৎ এক পুরুষসঙ্গীর পরিবারে একাধিক মহিলা থাকে। এরা বছরের প্রথম দিকে মিলিত হয়। তিন থেকে আটটি ছানার মধ্যে মাত্র অর্ধেক প্রথম বছর বেঁচে থাকে। পুরুষরা ‘কোটারি’ বদল করলেও স্ত্রীরা সারাজীবন এক ‘কোটারি’তেই কাটিয়ে দেয়। ক্ষুধার্ত উইজেল, র‍্যাটলস্নেক যাতে এদের কলোনিতে আক্রমণ করতে না পারে, তার জন্যে নজরদার মোতায়েন করা হয়, যারা নিয়মিত ঘুরে বেড়ায় এবং বিপদ দেখলেই উপনিবেশকে সতর্ক করতে দেয়। বাসিন্দারা গর্তের গভীরে নিরাপদ আশ্রয় নিলে, কলোনির বিপরীত প্রান্তে দুতিনটি নজরদার প্রেইরি ডগ ডাকাডাকি করে শত্রুর মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে! বস্তুত অসংখ্য শত্রুর কবল থেকে বাঁচার প্রয়োজনেই এই তাদের ‘কমিউনাল বিহেভিয়ার’এর প্রয়োগ।

অনেকসময় একটি শক্তিশালী ‘কোটারি’র পুরুষ প্রেইরি ডগ দুর্বল ‘কোটারি’র অঞ্চল আক্রমণ করে প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষ প্রেইরি ডগসহ তার সমস্ত বাচ্চাকে মেরে ফেলে। সে আসলে নিজের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। মায়েরাও অনেক সময় অন্যের শিশুহত্যায় জড়িত থাকে, ‘হেলপিং হ্যান্ড’ পাওয়ার ছুতোয়! প্রেইরি ডগরা যে ‘কমিউনাল ব্রীডার’, তা এ থেকে প্রমাণ হয়ে যায়। নিজের সন্তানদের মৃত্যুর পরে ঐ শোকার্ত মা অন্য বাচ্চাদের বেড়ে উঠতে সহায়তা করে!

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ডিকোড করা অন্য যে কোনও প্রাণীর ভাষার চেয়ে এদের শব্দভাণ্ডার অনেক বেশি উন্নত। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এদের আওয়াজগুলি অবিশ্বাস্যভাবে বিশদ বিবরণ দিতে সক্ষম! প্রেইরি ডগরা একে অপরকে সতর্ক করতে পারে। যেমন, তাদের গর্তের দিকে যে যাচ্ছে সে নীলরঙের পোশাক পরা লম্বা মানুষই হোক বা বন্দুক হাতে মানুষ…এরা তাও স্পষ্টভাবে জানাতে পারে! প্রেইরির ইকোসিস্টেম বজায় রাখতে এদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এদের গর্ত খোঁড়ার কার্যকলাপ মাটিতে বাতাস, জল প্রবেশ করতে সাহায্য করে, নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বর্জ্য মাটির গুণমান বাড়ায়। এমনকি এদের পরিত্যক্ত টাউন র‍্যাটলস্নেক, ব্যাঙ, খরগোশের বাসা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই প্রাণীগুলি তাদের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে কমপক্ষে একশোরও বেশি অন্যান্য প্রজাতির সহায়তা করে!

আমরা এগিয়ে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালাম, খানিক দূরে পথের পাশে হোর্ডিংএ জ্বল জ্বল করছে কয়েকটি শব্দ-“ডু নট অ্যাপ্রোচ অর ফীড ওয়াইল্ডলাইফ”…!

দূরত্বটা উভয়েরই প্রয়োজন!

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *