শিহাব সরকার
রক্তের গভীরেরর ভিতরের খেলা, তার টানে
আমরাও যাবো কোনো রাতে ফেলে রেখে সবই–
আহলাদে ঘুমঘোরে হারানো কতশত ছবি
লাশ কাটা হয় ঐ দূরের দালানে।
ঢাকা কিংবা বরিশালে
ওরকমই মর্গ একটি খুঁজতে বলি হিমসকালে
প্রেমেন কিংবা ভূমেন্দ্রদের,
হোক না ওটা শনের চালা, পাথুরে দেওয়াল মৌর্য যুগের
সবাই ওরা জীবনানন্দের কাছের মানুষ
ঝুলকালিমায় হারিয়ে থেকেও ওড়ায় ফানুস।
লাবণ্যও সুখ খুঁজেছে ওর ধরনে
মনপরিধি মাপতে গিয়ে সখী এবং বান্ধবীদের
জানলো না কই, কোথায় জমে অন্ধকার
কোথায় আছে জীবনানন্দের শিরার ভিতর
আঁধার থেকে ছড়িয়ে যাওয়া দৈব নেশা
কলঙ্কিনী লাবণ্যরাই, এই মূলত নারীর পাওয়া
গবেষক আর কেরানিরা কলমপেষা
যেখানে হোক, ছড়াতে থাকে ধূলির কীট,
পেঁচিয়ে ওঠে শুধুই গিঁট
লাবণ্য কেন বেড়ায় উড়ে কবির যখন রক্ত ঝরে,
থাকবে কবি চিরদিনই কবিতা-মাতাল?
আর শুটিং ফ্লোরের কোনায় কোনায় ছায়া-দাঁতাল
বাঁচার জন্য দেহ নগ্ন, লোলুপ থাবা, গলির ভাষা
নারীরা সহে, সবই সহে
হায় গবেষক, ঢুকতে যদি নিঝুম ঘরে
দেখতে তুমি বিনোদিনীরও অশ্রু ঝরে
কীভাবে হয় সাদা থানে ভালোবাসা।
অশরীরী নারীরা সব নদীর তীরে।
দেখেনি ওরা কবির শব, ঢাকা যত শুকনো ফুলে ফুলে
ভিতর থেকে ভাঙবে কেবল কবির টেবিলে।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন