binodan-bongo-sommelan-usa-2022

বঙ্গ সম্মেলন ২০২২ – লাস ভেগাস, উত্তর আমেরিকা
নিউজ NABC
রূপা মজুমদার
চিত্র সৌজন্যে: অরজানী ব্যানার্জি

উদ্বোধন অনুষ্ঠান

লাস ভেগাস নামের সঙ্গে কেমন লাস্য ব্যাপারটা জড়িয়ে আছে না?

ইতিহাস বলে এক ইউরোপিয়ান ভদ্রলোক মরুভূমির মাঝখানের সবুজ ঘাসের এই উপত্যকা দেখে মুগ্ধ হয়ে নাম রেখেছিলেন লাস ভেগাস। য়ুটাহ থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার পথে এক কালে মর্মনরা এই জায়গায় বিশ্রাম নিতে তাঁবু খাটাতো। মর্মনরা হলো আমেরিকার বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠী যাদের জীবন যাপনের ধারণা সাধারণের থেকে আলাদা। তারা স্থানীয় উপজাতি থেকে নিজেদের রক্ষার্থে এলাকাটিকে কাঠের দেওয়াল দিয়ে ঘিরে নিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি স্থায়ী রূপ নিল আর হয়ে দাঁড়ালো একটি স্থায়ী বসবাস কেন্দ্র। এইখানেই মর্মন দুর্গ তৈরি হয় ১৮৫৫ সালে।

ইতিহাস চাই বলুক না কেন লাস ভেগাস মানেই কিন্তু কেউ বলেন ফুর্তির স্বর্গরাজ্য, কেউ বলেন পাপের দুনিয়া বা সিন সিটি। মার্কিন মুলুকের এই শহরটির আশ্চর্য টান আছে – প্রাপ্তবয়স্কদের মনোরঞ্জনের যাবতীয় উপকরণ সাজানো আছে। শহরের মাঝখানে বুলেভার্ড নামক লম্বার রাস্তার দু’ধারে অর্থাৎ পদস্খলনের সব আয়োজন সাজানো! এই রাস্তাটির আরেক নাম “দী স্ট্রিপ “।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান
বঙ্গ সম্মেলন শুরুর আগের দিন কাজের সঙ্গে সমানতালে আলাপ চারিতা এবং আড্ডা।
বটতলা সাজাচ্ছেন সুদীপ্তা বুয়া চট্টোপাধ্যায় এবং নির্দেশ দিচ্ছেন ধৃতি বাগচী

শহরের জনপ্রিয় হোটেলগুলি এই রাস্তার দুধারে অবস্থিত, প্রায় গায়ে গায়ে লাগানো। প্রতিটি হোটেলে রয়েছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো, বিখ্যাত আন্তর্জাতিক নামিদামি সব বিলাসবহুল ব্রান্ডের বুটিক এবং পৃথিবী বিখ্যাত উঁচু মানের রেস্টুরেন্ট। হোটেলগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এবং সবগুলো যে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন তা কিন্তু নয়, বাচ্চাদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান এমনকি ম্যাজিক পর্যন্ত দেখানো হয়। নামিদামি গায়িকা বা গায়করা কিছু হোটেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে তাদের পারফরম্যান্স দেখা বা শোনার জন্য থাকে আগাম বুকিং। শহরটি বড় বড় নিয়ন বাতি, এখন এলইডি আলোয় আলোকিত থাকে সারা রাত, কলকাতার দুর্গাপূজা বা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো প্যান্ডেলের আলোকসজ্জা যেরকম ঠিক সেই রকম। শহরটি পরিবর্তন হতে থাকে। হোটেল ভাঙ্গা হয় – আবার গড়াও হয়।

দ্য স্ট্রিপ ধরে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে ক্যানেলের ওপর ইটালির গন্ডোলা। সাদাকালো ডোরাকাটা ছোট হাতের শার্ট পরা, মাথায় সাদা টুপি পড়া কোন ব্যক্তি নৌকার পিছনে দাঁড়িয়ে গান গাইতে গাইতে দাড় টানছেন। গন্ডোলায় বসে হয়তো কোন চীনা দম্পতি মুগ্ধ হয়ে শুনছেন ইটালিয়ান ভাষার ওই গান। ব্রীজের তলা দিয়ে খাল ধরে নৌকোটি হয়তো ঢুকে গেল কোন হোটেলের মধ্যে যেখানে সৃষ্টি করা হয়েছে ইটালির ভেনিস শহরের পরিবেশ।

মার্কিনদের হাতে সেজে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ প্যাভিলিয়ন
ঢাক বাজিয়ে উদ্বোধন
আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা_র জন্য পুরস্কৃত দেবলীনা কুমার

আবার নিউ ইয়র্ক নামের আরেকটি হোটেলের বাইরে তৈরি হয়েছে নিউ ইয়র্ক শহরের গগনচুম্বী অট্টালিকার ছোট্ট প্রতিমূর্তি। আরেকটু এগিয়ে চোখে পড়বে আইফেল টাওয়ার। না ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার নয় , কিন্তু তার হুবহু নকল – আসলটির থেকে ঠিক অর্ধেক মাপের। ইচ্ছে হলে ওপরে ওঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়া যায়। রাস্তার আরেকটি দিকে ৩২ তলা বেলাজিও হোটেলের হলুদ রঙের ইমারত যার মধ্যেখানে এক সবুজ রঙের গোলাকার গম্বুজ। সামনে ৫০ মিটার দীর্ঘ লেক। বেলাজিও হোটেলের বিশেষ ফাউন্টেন বা ঝরনার খেলা সঙ্গে চলে বাজনা এবং জলপ্রপাত। ১০০ টির উপর বেশি নজল থেকে জল বেরিয়ে ১০০ ফুট উঁচুতে উঠে বিচিত্র ভঙ্গিতে দুলে উঠলে মনে হয় নৃত্য পরিবেশনা করছে কোন লাস্যময়ী শিল্পী। দুবাইয়ের এক বিখ্যাত হোটেলের প্রযুক্তির অনুকরণে তৈরি এই বিশেষ ফাউন্টেন। আবার দী স্ট্রিপের কিছু অংশের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে হংকং বা ম্যাকাওর কোন বিশেষ জায়গার। এক কথায় বলতে গেলে চাকচিক্য এবং জাঁকজমকের অন্তিম গন্তব্যস্থল লাস ভেগাস।

তবে এখানের আসল বিশেষত্ব হলো ক্যাসিনো। জেমস বন্ডের সিনেমার মতো জুয়ার টেবিলের চারপাশে লাস্যময়ীদের দল ঘুরে বেড়ায় – কেউ ট্রেতে করে আনছে ড্রিঙ্কস তো কেউ আবার জুয়ারীদের হাতে এগিয়ে দিচ্ছে রুলেটের ছক্কা। সব হোটেলের নিচেই বিশাল জায়গা জুড়ে ক্যাসিনো – কত রকম খেলা – বিঙ্গ, ব্ল্যাক জ্যাক , ক্রাপস, রুলেট বুকার, বিগ সিন হুইল, পুল বেকারাট । কোনটা টেবিল গেম তো কোনটা স্লট মেশিন। ঝলমল করছে আলোর চমকানি । কোথাও তাস, কোথাও আবার নম্বর লেখা ছক্কা। বেশিরভাগ বিদেশি টুরিস্ট টেবিল ঘিরে বাজি ফেলে চলেছে। তাদেরই মধ্যে মিশে আছে পাক্কা জুয়ারীরা, যারা প্রথমে জিতিয়ে পরে সর্বসান্ত করার কৌশল জানে।

হুড খোলা দোতলা বাসে বসে এখানের অলিগলিতে দিব্যি ঘুরে বেড়ানো যায়। নাইট ট্যুরও আছে। এত আলো চারপাশে যে চোখ ধাধিয়ে যায়। আর বিখ্যাত ফ্রেমন্ট স্ট্রিট দেখতে গেলে মনে হয় মাথার ওপর আলোর ছাদ। এলইডি আলো দিয়ে তৈরি এই মায়াপুরীতে আধুনিক লাইট অ্যান্ড শো এতই অভিনব যে লেখায় ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তবে হেটেও শহর দেখার একটা আলাদা মজা আছে, যদিও বেজায় গরম। আসলে নেভাদা স্টেটের মোজাভে মরুভূমির মধ্যেখানে কলোরাডো নদীর জল পেয়ে লাস ভেগাস মরুদ্দ্যান হয়ে উঠলেও দিনের বেলায় চরচর করে পারদ উর্দ্ধমুখী হতে থাকে ।

ডাক্তার কালি প্রদীপ চৌধুরী কে ফেলিসিটেট করছেন মিলন আওয়ন এবং প্রবীর রায়
বাংলার পট আঁকছেন শান্তিনিকেতনের শিল্পী সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়
বিজনেস ফোরামে বক্তব্য রাখছেন অমিত মিত্র

কলোরাডোকে দেখতে গেলে একদিনের ট্যুরে যেতে হবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বললেই মনে পড়ে যায় সুপারহিট হলিউড ফিল্ম ‘মেকেনাস গোল্ড’। গ্রেগরি পেক, ওমর শরীফ আর আরিজোনা মরুভূমির গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এবং তার ভেতর দিয়ে বয়ে চলা কলোরাডো নদী !

এই লাস ভেগাসেই আয়োজিত হলো দু’বছর বাদে বঙ্গ সম্মেলন – বাঙালির সবচেয়ে বড় মিলন মেলা – জুলাই মাসের এক দুই এবং তিন তারিখে। গান-বাজনা নাটক সাহিত্য বাণিজ্যের আসর সঙ্গে দেদার আড্ডা এবং ভুঁড়িভোজ।

প্ল্যানেট হলিউডের মূল মঞ্চ “জাপোজে” আবেগঘন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে “ব্র্যান্ড বেঙ্গল” ছিল মুখ্য আলোচ্য বিষয়। প্রথা মেনে ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা ও কানাডার জাতীয় সংগীতের সঙ্গে ছিল অনবদ্য নৃত্য -গীত আলেখ্য , যেখানে ১২০ জন প্রবাসী তরুণ তরুণীরা নৃত্য পরিবেশন করে। এটাই বঙ্গ সম্মেলনের মূল উপজীব্য বিষয় – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী তরুণ প্রজন্ম বাংলার সংস্কৃতি পরিবেশন করা! অনেকগুলি ভালো লাগা মুহূর্তের মধ্যে একটা মনে রয়ে যাওয়ার বিষয় অবশ্যই কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল মেলিন্ডা পাভেকের শাড়ি পড়া।

২০২২ র বঙ্গ সম্মেলনে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে লাস ভেগাসের কনভেনশন সেন্টারে প্যাভেলিয়ান ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা। সাহিত্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছিল বাণিজ্য ফোরাম যাতে ভবিষ্যতে রাজ্যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বঙ্গ সম্মেলনের আঙিনা থেকে।

প্রবাসীদের জন্য একগুচ্ছ বাংলা সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্রকাররা। দেখানো হয়েছিল “অপরাজিত”, অনীক দত্তের। ছিল শুভজিৎ মিত্রর “অভিযাত্রিক” এবং রাজর্ষি দের “আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা”, এই সবকটি সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহাশ্বেতা দেবীর জীবনের ওপর আধারিত ছবি “মহানন্দা” এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গৌতম ঘোষের ছবি “শঙ্খচিল” দেখানো হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন কলাকুশলিরা। ছিলেন ” অচেনা উত্তমের” অভিনেতারা।

nabc-বিজনেস ফোরামে বক্তব্য রাখছেন ডঃ অমিত মিত্র
মঞ্চে বাঁদিক থেকে সুমিত গাঙ্গুলি, মেলিন্ডা পাভেক, চন্দ্রশেখর ঘোষ, সঞ্জয় চক্রবর্তী
মার্কিন মুলুকে অকালবোধনের অপেক্ষায় মা দুর্গা

প্রত্যেক বারের মতনই এবছরও ছিল সঙ্গীত, নৃত্য এবং থিয়েটার জগতের নক্ষত্রদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। ছিল ফ্যাশনের আনন্দধারা। থিম “মিস্টার রে”। নাম “আহা কি আনন্দ পোশাকে আশাকে”। লিটারারি সেমিনার জমে উঠেছিল একগুচ্ছ আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে। মেডিক্যাল ফোরামের আলোচনার বিষয়গুলি ছিল রীতিমত চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয়। এক অন্য মাত্রা যোগায় বাংলার লোকশিল্পের অভিনব আয়োজন। পুতুল নাচ, পেইন্টিং, পটচিত্র ইত্যাদির আয়োজন দেখলে মনে হয় ঝাড়গ্রাম বা শান্তিনিকেতন থেকে যেন এক টুকরো বাংলা উঠে এসেছে লাস ভেগাসের বুকে। এই ধরনের সামগ্রী নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হয় – প্রদর্শনীর নাম ছিল দর্পণে পার্বণ। বিষয় বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ। বই থেকে গহনা, শাড়ি থেকে হস্তশিল্প সবকিছুর স্টলে ছিল প্রবাসী বাঙ্গালীদের ভিড়। এরই মধ্যে চলেছে কৃতিদের সম্মাননা প্রদান।

বঙ্গ সম্মেলনের উদ্দেশ্য উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতির সংরক্ষণ। এবং সেইটা তখনই সম্ভব যখন তরুণ প্রজন্ম স্বশরীরে উপস্থিত হবে এই ধরনের উৎসবে। উৎসাহের ব্যাপার এটাই, একগুচ্ছ তরুণ তরুণী এবং যুবক যুবতী স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে এ মঞ্চ থেকে ও মঞ্চ। তদারকি করেছে চারদিক। এরা এক এক জন এক একটি শহর থেকে এসেছে। স্কুল, কলেজে পড়ে বা চাকরি – ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু বাংলা এবং বাঙালিকে ভালোবেসে তারা আগ্রহ নিয়ে বঙ্গ সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্লানেট হলিউড রিসোর্ট এন্ড ক্যাসিনো বোধহয় আগে কখনো এমন বাংলা আগ্রাসন দেখেনি। চোখ ধাঁধানো আলো, টেবিলে টেবিলে জুয়ার আসর, তারই মাঝে খাঁটি বাঙালিয়ানার সমারোহ – কোথাও গ্রামের বটতলা, আবার কোথাও রবীন্দ্র – নজরুল সঙ্গীতের সঙ্গে নাচের মহড়া। চারিপাশে শুধু শাড়ী, ধুতি, বাংলা, বাঙালি এবং দুই বাংলার মিলন ক্ষেত্র – বাঙালিয়ানার সমারোহ।

শেষ রাতে নৈশভ্রমণ
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পরবর্তী কমিটির হাতে ব্যাটন পরিবর্তন।
২০২৩ বঙ্গ সম্মেলনের ব্যাটন ট্রান্সফার প্রক্রিয়া। আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে নিউ জার্সির আটলান্টা শহরে

দুবছর পর অনুষ্ঠিত বাঙালির মিলন উৎসবের শেষ দিনে বেজে ওঠে বিষাদের সুর। এক বছর ধরে দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে মিটিং, প্ল্যানিং হঠাৎ কেমন ফাঁকা হয়ে যায়। আগামী বছর নতুন কমিটি। অন্য শহর। ভিন্ন প্ল্যান। অপেক্ষা একটি বছরের। অপেক্ষা রইবে আবার কবে পূর্ন অডিটোরিয়াম বাংলার তালে তালে হাততালিতে ফেটে পড়বে।

টুরিস্টরা বলেন ভেগাস নাকি ঘুমোয় না! সত্যিই জুলাইয়ের প্রথম তিন দিন মরুভূমির মাঝখানে জেগে থাকা মরুদ্দ্যান শহরটি নিদ্রাহীন বাঙালিদের উল্লাসের সাক্ষী থেকেছে।

টুরিস্টরা এ-ও বলেন ভেগাসে যা হয় ভেগাসেই রয়ে যায়! কিন্তু নাহ। জুলাইয়ের প্রথম তিন দিন ভেগাসে বাঙ্গালিদের সমারোহর সংবাদ ভেগাসেই রয়ে যায় নি ছড়িয়ে পড়েছিল বাইরে, সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে।

জয় উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলনের।
জয় দুই বাংলার।
জয় বাঙালির ।
জয় বাঙালিয়ানার।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *