poem-nodimatrik

নদীমাতৃক
অঞ্জলি দাশ




ভাসানের জল মুছে
যে মেয়েটি আমাদের ঘরে এলো, তার নাম মায়া।

ইট কাঠ পাথর যা বলো
একটা সংসার গড়তে যা যা লাগে, সব ছিল…
ছড়ানো অসংযম, ছিল তৃণজীবি স্বপ্ন কিছু।
মেয়ে তাকে দেখেও দেখেনি,
মেয়ে তাকে গোপন চিহ্নের মতো খোঁপার কাঁটায়
রক্তপাতহীন গেঁথেছে, খুলেছে বারবার।

শরীরে জড়িয়ে আছে মৃত্তিকার মোহ
শরীরে ছড়িয়ে আছে সুরভিত ঘাসফুল,
দিনান্তের ছেঁড়া সুখ, টুকরো ব্যথা…।

ফেলে আসা জলরোল দরজায় টোকা দিলে
যদিও বা দুলে ওঠে সাজানো সংসার
প্রবল স্রোতের মুখে এক কণা বিষাদ রেখেই মেয়ে
ভাঙন রুখেছে বারবার।



জলের সমস্ত গুণ মুছে গেছে,
তবু কষ্ট পেলে ভিজে ওঠে ঘরের আসবাব
মেঝেতে বিছানা পেতে শষ্যবীজ শুয়ে থাকে বলে
উঠোনের একপ্রান্তে এক কল্পিত বটের ছায়া
মেঘ বেঁধে রাখে ডালে ডালে।

এই মেঘ জলের সন্তান,
এই মেঘ ভেজা শাড়ি
শরীরের সব দাহ পান করা তৃষ্ণার আখর,
প্রেমের আকর মাপে বিরহ সন্তাপে।

কিছুটা আবির ছিল জলেরও অন্তরে,
আমি তাকে ধুয়ে মুছে মৃত্তিকার মূর্তি গড়েছি
ভাসানের কোনো চিহ্ন রাখিনি শরীরে,
কেবল চোখের কোণে অশ্রুগ্রন্থি
নিজেকেই গোপনে বোঝায় জলের মিথ্যাচার।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *