শাশ্বতী সান্যাল
নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ ।
ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ ॥
১
এখনও গরম তালু। কপালে নরম বলিরেখা। পাঁজরের পাখি কাঁপছে… কাঁপছে কি? মৃদু ঝাপসা চোখে ঠাহর পাচ্ছিনা কিছু। ওঠো, উঠে বসো।
পুরোনো স্তনের ভাঁজে মটরদানার হার, আঙুলে পেঁচিয়ে ঘুমোতাম। জেগে থাকতে তুমি আর তোমার গল্পের পদ্মাবতী। কেমন সোন্দর সে কইন্যা? তোমার লাখান কুঁচবরণ?
ঢোল সহরত বাজল। কন্যাকে বিবাহ করে নিয়ে গেল কারা? কোন গ্রামে তার ঘর? গৃহকর্মে দিন কেটে যায়। শাশুড়িগঞ্জনা সয়ে রাত্রি জাগে পুঁথির পাতায়… সে আরেক রূপকথা। মেঘরঙা চুল
এখন পেকেছে। আমি হাত রাখি। বিলি কেটে ডাকি। এই তো নরম ছিল মুখভাব, যেন ঘুমিয়েছ। এইবারে উঠে বসবে সাত ভাই চম্পাদের বনে।
তোমাকে ও দেশ থেকে কারা ডাকছে- পারুল! পারুল!
২
খালিপায়ে হেঁটে আসো, এই রাস্তা তীব্র নাজুক
বাড়াওনি হাত। অভিমানে। আমি ফিরে যাব? ছুঁতে চাই বাজু
নিঝুম রুপোর তাগা। পান চিবোনোর গন্ধ। গল্প বলা এমন দুপুরে
খালিপায়ে চলে যাচ্ছ মরু, নদী, খানাখন্দ পার হয়ে দূরে… কত দূরে!
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন